সারিয়াকান্দিতে হাটশেরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যাপক স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ উঠেছে। এ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নাম নুর মোহাম্মদ মেহেদী হাসান আলো। তিনি পরিষদের সব কাজকর্ম একাই করছেন, নির্বাচনের প্রায় ২ বছর পার হলেও তিনি পরিষদের কোন মাসিক সভা করেননি, এমনকি পরিষদের প্যানেল চেয়্যারম্যান পর্যন্ত নির্বাচনের ব্যবস্থাও করেননি। এ নিয়ে পরিষদের সদস্যদের মধ্য অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
স্হানীয়রা জানান, ৩১ জানুয়ারি ২০২২ সালে এই ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের সময় চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ আলো আযিযুল হক কলেজে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। স্হানীয়রা তাকে না চিনলেও ডিআইজি হামিদুল আলম মিলনের বড় ভাইয়ের ছেলে হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ভোট করেছেন নুর মোহাম্মদ মেহেদী হাসান আলো। ডিআইজি হামিদুল আলম মিলনের ভাতিজা হওয়ার সুবাদে তাকে একচেটিয়া ভোটও দিয়েছেন এলাকাবাসী। পরিষদটিতে তিনি চেয়ারম্যান ছাড়াও আরো ৯ জন সদস্য ও ৩ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য রয়েছেন। কিন্তু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি কাউকেই পাত্তা দিচ্ছেন না। সদস্যরা বলেছেন, পরিষদের সব কাজ কাম তিনি নিজের মত করছেন। আজ পর্যন্ত একবারও তিনি পরিষদে মাসিক সভা করেননি। শপথ নেওয়ার ৩০ দিনের মধ্য প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন করার বিধি বিধান থাকলেও আজ পর্যন্ত তিনি সে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন নি। তিনি সদস্যদের কাছে বলেন, আমি থাকতে প্যানেল চেয়ারম্যানের দরকার কি। ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হামিদুল হান্নান বলেন, আমরা তাকে বারবার বলা সত্ত্বেও তিনি প্যানেল চেয়ারম্যানের নির্বাচনে অনীহা দেখান। তিনি কেন এমন করেন তা আমাদের বোধগম্য না। আবদুল কুদ্দুস ছাড়া ও আর একাধিক সদস্য বলেন, সে তো কোন সদস্যোকে দাম দিতে চায় না। একাই পরিষদের সব কাজ করে থাকেন। এমনকি আজ পর্যন্ত তিনি একটিও মাসিক সভাও করেননি। এ ব্যাপারে বুধবার দুপুরে চেয়ারম্যান নূর মোঃ মেহেদী হাসান আলো বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান আছে, তবে এই মুহূর্তে তার নাম মনে নেই। আমার সাথে সাক্ষাত করলে বলতে পারব।
এ ব্যাপারে রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত), সবুজ কুমার বসাক বলেন, এমন ঘটনা আমার জানা নেই। আপনার কাছ থেকে প্রথম শুনলাম। খোঁজখবর নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।