নেত্রকোনার কলমাকান্দায় সাবেক স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে সাবেক স্বামী আবদুল মজিদকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুুলিশ। এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার লেংগুরা ইউনিয়নের গৌরিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আবদুল মজিদ আম্বিয়াকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের চাচাতো ভাই আনোয়ার হোসেন (৩৫)। নিহত স্ত্রীর নাম আম্বিয়া খাতুন (৪০) উপজেলার একই ইউনিয়নের উত্তর গোঁড়াগাও গ্রামের মো. নূরুল ইসলামের মেয়ে। অভিযুক্ত সাবেক স্বামী আবদুল মজিদ (৪৫) লেংগুরা ইউনিয়নের গৌরিপুর গ্রামের আবুল কাসেম ওরফে খোকা মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানান, সাবেক স্ত্রীকে হত্যার পর দায় অন্যজনের ওপর চাপাতে থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন আবদুল মজিদ। পরে তাকে থানায় বসিয়ে রেখে লাশ উদ্ধারে যায় পুলিশ। লাশ উদ্ধার শেষে ঘটনা বিশ্লেষণ করে আবদুল মজিদকে আটক করে। পুলিশ আরও জানান, আম্বিয়া খাতুনের প্রথম বিয়ে হয়েছিল আবদুল মজিদের বড় ভাই হাবিবুর রহমানের সাথে। তাদের সংসারে তিন সন্তান রয়েছে। তিন বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় হাবিবুর রহমানের মৃত্যু হয়। পরে দেবর আবদুল মজিদের সাথে বিয়ে হয় আম্বিয়ার। এর কিছুদিন পর থেকেই আবদুল মজিদ নেশাগ্রস্ত হয়ে প্রায়ই স্ত্রীকে নানা ধরনের অত্যাচার ও মারধর করতো। একপর্যায়ে অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে কয়েক মাস আগে আবদুল মজিদকে ডিভোর্স দেন আম্বিয়া। এতে ক্ষিপ্ত হয়েছিল মজিদ। সুযোগ বুঝে গত শনিবার দিবাগত রাতে বাসায় গিয়ে কুপিয়ে ও মাথায় আঘাত করে আম্বিয়াকে হত্যা করে মজিদ। কলমাকান্দা থানার (ওসি) আবুল কালাম পিপিএম বলেন, আম্বিয়ার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার সাবেক স্বামী আবদুল মজিদকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।