নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের শালিসে একতরফা রায়ের কারণে ৪টি পরিবারের বাড়ির প্রবেশ পথ বন্ধ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
রোববার ২৩ জুলাই বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সোনাখুলি গ্রামের তহশিলদারপাড়ার ভুক্তভোগীরা এ সম্মেলন করেন।
পরিবারগুলোর প্রধান মো: জমসেদ আলী লিখিত বক্তব্যে বলেন, ওই এলাকায় দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে একই সাথে বসবাস করে আসছেন তাদের পূর্বসূরীরা। তবে ৪টি পরিবারের বাড়ি প্রবেশের একমাত্র গলি পথ নিয়ে আপন ভাতিজা জাকির হোসেনের সাথে বিরোধ। তিনি গলিপথটি বন্ধ করে দেন। পরে মিমাংসার জন্য সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি ভুমি কমিশনারের কাছে অভিযোগ দাখিল করেন ভুক্তভোগীরা। সেখানে সহকারি কমিশনার ভুমি তদন্তের পর গলি সড়কটি উম্মুক্ত করে ব্যবহারের অনুমতি দেন।
তবে এতে নাখোশ হন জাকির হোসেন। তিনি সড়কটি বন্ধের জন্য কৌশলে বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জুনকে প্রভাবিত করে গ্রাম্য শালিসের আয়োজন করে। সেখানে জমসেদ আলীসহ অন্য ৩ পরিবারকে না ডেকে পক্ষপাতিত্ব করে আবারও বাড়ি প্রবেশের গলিপথটি বন্ধ করে দেন। চেয়ারম্যানের এমন নির্দেশনা পেয়ে ওই গলিমুখের একটি পথে পাকা দেয়াল অন্যটি টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। এতে বাড়ি থেকে প্রধান সড়কে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে।
জমসেদের ছোট ভাই সমশের আলী বলেন, প্রতিপক্ষরা নিকটাত্মিয়। তারপরেও সামান্য অজুহাতে লাঠি শোডা নিয়ে হামলা চালায়। তাদের দাপটের কারণে আজ আমি পৈতৃক ভুমি ছাড়া। পরিবার নিয়ে বর্তমানে শহরে বসবাস করছি। তাই চেয়ারম্যানের এমন অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবী করেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলি।
বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জুন বলেন, একতরফা রায়ের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি। সেখানে জমসেদ আলী উপস্থিত ছিলেন। তার প্রতিবেশি ৬ ফুট জায়গার সড়ক ভিন্ন স্থানে দেবেন। এমন সিদ্ধান্তের কারণে গলিপথ বন্ধ করা হয়েছে। তার চলাচলের কোন সমস্যা নেই।