চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিল্ডিং নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে আবুল কালাম (৫৫) গংদের বিরুদ্ধে। উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চির্কা গ্রামের পাটওয়ারী বাড়িতে সোমবার (২৪ জুলাই) এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে জানা যায়, ওই বাড়ির আবুল কালাম গংদের সাথে তাদের চাচাতো ভাই একই বাড়ির বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন (৫২) গংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। চলমান বিরোধ মিমাংসার লক্ষে স্থানীয়ভাবে কয়েক ধাপে সালিশি বৈঠক বসলে সালিশদের পক্ষ প্রাথিত্বের কারণে কোন সঠিক সমাধান মিলেনি। এতে বিচার বঞ্চিত হচ্ছে অসহায় পরিবারটি। ভুক্তভোগী পরিবারটির বসতঘরের দরজা ঘেষে বিল্ডিং এর কাজ করছে অপরপক্ষ।
ফলে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় বিজ্ঞ আদালতে দরখাস্ত মামলা নং ৮৭৬/২০২৩ করেন ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন। আদালত ওই মামলাটি আমলে নিয়ে বিরোধকৃত সম্পতিত্বে গত ১৯ জুলাই ১৪৫ ধারা মতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে প্রতিপক্ষরা বহিরাগত প্রভাবসালীদের অংশ গ্রহণের মধ্যদিয়ে সোমবার সকালে বিল্ডিংয়ের কাজ করেন। প্রকাশ্যে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অবমাননা দেখে ভুক্তভোগী পরিবারটি হতাশ হয়ে পড়েন।
মামলার বাদী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি ভ্যান গাড়ি চালিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। আমার প্রতিপক্ষ আমার আপন চাচাতো ভাই হয়। বিরোধকৃত সম্পত্তি আমার পৈত্রিক। এতে আমি ৭ শকত জমির মালিক হয়েছি। বর্তমানে আমার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে বিরোধকৃত সম্পত্তিতে বিল্ডিং নির্মাণ করছে। এলাকার সালিশদের জানিয়েছি, আমার টাকা পয়সা না থাকায় সালিশরা পক্ষ প্রাথিত্ব করছে। আমি স্থানীয় মেম্বারকে জানিয়েছি, প্রতিপক্ষরা তাঁেকও মানছেনা। তাই আমি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই।
এদিকে অভিযুক্ত আবুল কালাম আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাজ করার বিষয়ে স্বীকার করে বলেন, তার জায়গাতে বিল্ডিংয়ের কাজ করছেন তিনি। সিমেন্ট, রড ও বালু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সে জন্য কাজ করছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আনোয়ার হোসেন এলাকার সালিশদের মানছেনা, সে শুধু থানা পুলিশ আইন আদালত করে, এলাকার মানুষ তার সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিলে থানা পুলিশ কি তার সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে পারবে?
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.দেলোয়ার সরকার বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন আমাকে জানিয়েছে, অপর পক্ষকে আমি ডেকেছি, তারা আমার কথা শোনে না। নিজেদের মনগড়া কাজ করছে তাঁরা। আমিও চাই বিষয়টির সুন্দর সমাধান হউক।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মো. সামছুজ্জামান বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাজ করার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এ সময় অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরবর্তিতে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি উভয় পক্ষকে তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে থানায় ডাকা হয়েছে। কাগজপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।