আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উত্তাপ ছড়াচ্ছে রাজনৈতিক মাঠ। দেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগও বলে আসছে দেশের সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হবে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বৈরী সম্পর্ক চলছে। সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতি সংকট। বিরাজমান এই রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উপায় কি? এর কি কোন সুরাহা হবে না? জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর কয়েক মাস বাকি। তাই আমরা মনে করি রাজনৈতিক সংকট সমাধানে এখনই সুরাহা প্রয়োজন এবং প্রধান দুই দলকেই এগিয়ে আসতে হবে। সংকট সমাধান না হলে দেশের জনগণকেই চরম মূল্য দিতে হবে। অতীতে আমরা দেখেছি রাজনৈতিক আন্দোলনে কি নির্মমভাবে মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। তাই সংকট সমাধানে প্রয়োজন রাজনৈতিক সংলাপ। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কঠোর অবস্থানে থাকার কারনে সংলাপ কি ফলপ্রসূ হবে সেই প্রশ্ন রয়েই যায়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীর কারণে রাজনেতিক মাঠ যেমন গরম হচ্ছে তেমনি সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। এমনিকি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে দুই দলের নেতাকর্মীরা। রাজধানীতে বড় দুই দলের কর্মসূচীর কারণে যানজটের কবলে পড়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নগরবাসী। অতীতে আমরা দেখেছি হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও, রাজনৈতিক সহিংসতায় বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল দেশের অর্থনীতিতে। এভাবে বড় দুই দলের কঠোর অবস্থান ও রাজপথের আন্দোলন সংঘাত বয়ে আনবে বলে মনে করেন অভিজ্ঞমহল। তাই এই সংকট নিরসেন রাজনৈতিক নেতার এগিয়ে আসতে হবে। বিরাজমান এই পরিস্থিতি এড়াতে সংলাপের পথেই অগ্রসর হওয়া উচিত। তাহলেই শান্তি বিরাজ হবে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা পাবে। দেশের অর্থনীতি চাকাও সচল থাকবে। আমরা মনে করি, রাজপথের আন্দোলন ছাড়াও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান সম্ভব। শান্তিপূর্ণ সমাধানের একমাত্র পথ হতে পারে রাজনৈতিক সংলাপ। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে সে পথেই হাঁটা উচিত। সব দলের অংশগ্রহণে সংলাপ কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং সংঘাত-সংঘর্ষ হ্রাস পাবে। সব দলের রাজনৈতিক নেতাদের শুভবুদ্ধির উদয় হওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজন রাজনৈতিক সুরাহা।