রাজশাহীর পুঠিয়ায় ৭২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তার নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছে। কর্মকর্তা নিজে নিয়মিত অফিসে না আসায়। অফিসের গুরুত্বপূর্ন কাজ কর্মগুলি শিক্ষকরা করতে পাড়ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এক প্রভাবশালী ব্যক্তি তার নিজেস্ব লোক হওয়ায়। অফিসের কাওকেই কিছু মনে করেন না। তার কথায় অফিসাদের চলতে হয়। মাঝমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিয়োগ বাণিজ্যের করার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীরা মানববন্ধন করছে। পুঠিয়া-দুর্গাপুর এলাকার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নিদের্শে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলীয় নেতাকর্মীদের দিয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠন করা হয়েছে। সরকারি নিয়মনুযায়ী প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রধান শিক্ষক,সহকারি প্রধান শিক্ষক এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। দেখা গেছে, উপজেলায় স্কুল ৪৪টি, কলেজ ১২টি, স্কুল এ- কলেজ ৩টি, মাদ্রাসা ১৩টি রয়েছে। প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর হতে প্রভাশালী ব্যক্তির সঙ্গে প্রার্থীরা বিভিন্ন নেতাকর্মীর মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করেন। আর অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী নিয়োগ নিতে ৮ হতে ১০ লাখ টাকা প্রাথীদের দিতে হচ্ছে। আর প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ, সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিতে হলে ২০ হতে ২৫ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষকরা জানায়, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে চারজন করে তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী নিয়োগ হলে মোট নিয়োগ হবে ২৮৮ জন। আর কিছু প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। অর্থনৈতিক সমঝোতা হলেই সেই ব্যক্তিগুলো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। প্রভাবশালী ব্যক্তির অনুমতি এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার চাহিদা মতো ঘুষ ছাড়া নিয়োগ প্রত্রিুয়া করা কোনো ভাবেই সম্ভব হয় না বলে একাধিক প্রধান শিক্ষকরা জানিয়েছেন। যাকে কমিটিতে রাখলে নিয়োগ দিতে সুবিধা হবে তাদেরকেই নিয়োগ কমিটিতে রাখা হয়ে থাকেন। নিয়োগ প্রত্রিুয়ার সকল সদস্যরাই টাকার চুক্তি করে নিয়োগ বোর্ডে বসেন। আর সরকারি সব নিয়মকানুন নিয়ন্ত্রণ করেন উপজেলা মাধ্যমিক অফিস। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা মাধ্যমিক অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, স্যার নিজে নিয়মিত এবং সঠিক সময়ে অফিস অফিসে আসেন না। তারপর, অফিসের আসলে কেউ তার কাজের প্রতিবাদ করলে তাদের চাকরি যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। কারণ,এক প্রভাবশালী তার কাজে লোক হওয়ায়। অফিসের কাওকেই কিছু মনে করেন না। আর সাধারণ শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানের কাজ নিয়ে আসলে তাদের নিকট দুর্ব্যবহার করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা আকতার জাহান বলেন, আমি নিয়োগ সংক্রান্ত টাকার সঙ্গে জড়িত নেই। তারপর, যারা বলছে আমি নিয়োগ বোর্ডে টাকা ছাড়া যায় না। কথাটা সম্পন্ন মিথ্যা ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট। যে শিক্ষকরা বলেছেন তাদের নাম বলেন।