বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পান চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে রশিদিয়ে বেঁধে এক যুবককে মারধর করে, এখব শুনে যুবকের পিতা ছেলেকে বাঁচাগে গেলে তাকেও মারধর করে আহত করে সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে আহতরা। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের জলিরপাড় গ্রামের অনিল ওঝার ছেলে অখিল ওঝার বাড়িতে দুই বছর ধরে পানের বরজে কাজ করে আসছিল একই উপজেলার বাশাইল গ্রামের কালাচাঁদ তালুকদারের ছেলে বাপ্পি তালুকদার (৩০)। বাপ্পী তালুকদার আর অখিল ওঝার পান বরজে কাজ করবে না বলে জানিয়ে দেন। এরপরে গত ২৩ জুলাই রাতে অখিল ওঝা, সজিব অধিকারী সহ তাদের লোকজন বাপ্পী তালুকাদারকে পান চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অখিল ওঝা ঘরের ভিতরে রশিদিয়ে বেধে মারধর করে গুরুতর আহত করে। বাপ্পীর পিতা কালাচাঁদ খবর পেয়ে ছেলেকে বাচাতে আসলে তাকেও মারধর করে। স্থানীয়রা বাপ্পী তালুকদারকে উদ্ধর করে গুরুতর আহত অবস্থা আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। কালাচাঁদ তালুকদার প্রথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি যায়।
বাপ্পি তালুকদার বলেন, আমি অখিল ওঝা পানের বরজে দু’বছর পূর্ব থেকে কাজ করে আসছি। এখন আর কাজ করবোনা এই কথা বলার কারণে আমাকে অখিল ওঝা মিথ্যা পান চুরি কথা বলে তার ঘরে আমাকে রশিদিয়ে বেঁধে মারধর করে। আমার পিতা আসলে তাকেও মারধরকরে সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখে।
এব্যাপারে কালাচাঁন তালুকদার বলেন, আমার ছেলে বাপ্পীকে অখিল ওঝা ওতার লোক জন মার ধর করে এই কবর পেয়ে আমি গেলে আমাকেও মারধর করে। আমি থানায় কোন মামলা না করি এই বলে আমাকে ভয়দিয়ে আমার ও আমার ছেলের দুজনের সাদা ষ্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়। স্থানিদের সহয়তায় আমিার ছেলেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। আমি চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি আছি। আমি বাদী হয়ে ২৫ জুলাই রাতে আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
অভিযুক্ত অখিল ওঝা বলেন, বাপ্পী তালুকদার আমার পান বরজে কাজ করে। সে আমার পান বরজ থেকে পান চুরি করছে বলে তাকে থাপ্পর দিয়েছি। রশিদিয়ে বেধে মারপিট করি নাই। এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানা এসআই আবু সালেহ সাংবাদিকদের বলেন, লিখিত অভিযোগ আমার কাছে। আমি বুধবার ঘটনাস্থলে তদন্তে যাবো। তদন্তে পরে পরবর্তি ব্যবস্থা নেবো ওসি স্যারে সাথে কথা বলে।