গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ঝিনিয়া এম.এ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ে না আসায় অন্যান্য সহকারি শিক্ষকগণের উপস্থিতি কম হওয়ায় প্রতিষ্ঠান শিক্ষা কার্যক্রমসহ নানাভাবে বাঁধা গ্রস্থ হওয়ার অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ববাবর ১৫০ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ৩ মাস থেকে প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক ও দুই সহকারি শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও মাসুম মিয়া বিদ্যালয়ের উপস্থিত না থাকায় বিদ্যালয়ের অন্যান্য সহকারি শিক্ষকগণের উপস্থিতি অনিয়মিত হয়ে পরেছে এর ফলে বিদ্যালয়ে নিয়মিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন না হওয়ায় আমরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন ওজাতীয় পতাকা সম্মান প্রদর্শন করতে পারি না যা স্বাধীনতা ও মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানহানী করাসহ পাঠদানে বাঁধা গ্রস্থ হয়ে পরেছে এবং শ্রেণিকক্ষ গুলো ময়লার সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের টয়লেট ব্যবহারে অনুপোযোগী ও খাবার পানি নলকূপ নষ্ট হয়ে পরে আছে দেখার কেউ নাই।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারুফা আক্তার ও রাব্বী ইসলাম বলেন, করোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে বিশেষ ক্লাস নেয়ার নির্দেশ থাকলেও শিক্ষকগণের উপস্থিতির অভাবে নিয়মিত পাঠদানের বাঁধাগ্রস্থসহ প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুর্ণ হচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের সমানে এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি থেকে পিছিয়ে পড়ছে। যা আমাদের ভবিষ্যত নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। আমরা চাই অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ পূর্নরায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সঠিকভাবে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন।
এবিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেকের সঙ্গে মোবাইল-ফোনে যোগাযোগ করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মমিন মন্ডল জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তবে বর্তমান সময় শিক্ষকদের আন্দোলন চলছে। সেই কারণে প্রায় স্কুলে শিক্ষকগণের উপস্থিতি কম। তারপরও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।