নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বিজয়পুর বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানসহ আশপাশ এলাকায় অবাদে বিক্রিহচ্ছে ভারতীয় পন্য। এসব পন্য ভারত থেকে চোড়াই পথে এনে বিক্রি করছে দোকানীরা। দোকানীরা বলছেন চোরাকারবারীরা বিজিবি’র চোখ ফাঁকি দিয়ে অথবা তাদের যোগসাজসে সীমান্ত পাড়িদিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে এসব পন্য। আমরা ঐসব চোরাকারবারিদের কাছথেকে বাংলাদেশী টাকায় ক্রয়করে গ্রাহকের কাছে বিক্রি করেথাকি। শুল্ক বিহীন এসব পন্য ভারত থেকে এনে বিক্রি করার কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উভয় দেশের সরকার, অন্যদিকে নিজের দেশের পন্যের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে ক্রেতারা, যার কারণে বিপুল অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় কুল্লাগড়া ইউনিয়নের পাঁচকাহনিয়া সাদামাটি এলাকা, রাশিমণি স্মৃতিসৌধ মোড়, ভাংতির বাজার ও বিজয়পুর বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানে অবাদে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য। যারা দোকান সাজিয়ে বসে বিক্রি করছে তারা হল পাঁচকাহনিয়া সাদামাটি এলাকায় হারুন-অর রশিদ, মোফাজ্জল, মাছুম মিয়া, হারুন, রুকু মিয়া, আবু হুরায়রা, রমজান আলী, হ্নদয়, ইমরান, আমির হুসেন, রিপন, শফিকুল ইসলাম, হুসেন মিয়া, মোঃ আব্দুল্লাহ। রাশিমণি স্মৃতিসৌধ মোড় এলাকায় আলাল, আবু তাহের, রশিদ, মধাব শীল। বিজয়পুর বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় (পশ্চিম) আহাম্মদ আলী, স্গর, নাসির, জহিরুল, শরিফ, নাইম, নজরুল ইসলাম, নূরজাহান, আশিক, মিন্টু সাহা, সবুজ মিয়া। ভাংতির বাজারে ১৪টি দোকানসহ অন্তত: ৮০টি দোকানে বাহারী সাজে সাজিয়ে বসেছে ভারতীয় অবৈধ পন্য। এগুলির মধ্যে রয়েছে অন্তত: ৫০ আইটেম এর প্রশাধনী, ব্যাথানাশক মলম, বিস্কিট, চকলেট সহ হরেক রকমের পন্য।
এ বিষয়ে বিজয়পুর বিজিবি ক্যাম্প ইনচার্জ নায়েক সোবেদার মোঃ মিজানুর রহমান সেলিম এর কাছে জানতে চাওয়া হলে সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষিপ্তহয়ে উঠেন তিনি, এবং বলেন ওরা যে পথেই আনুক আনবে বিক্রি করবে আপনারা যা পারেণ লিখেন।
দুর্গাপুর থানা অফিসার ইন-চার্জ(ওসি) মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এ সকল বিষয়ে আমরা বারবার নিষেধ করেছি, এবং পাশাপাশি ট্রাক্সফোর্স কমিটির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করি। নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল আহসান বলেন ট্রাক্সফোর্স কমিটির মাধ্যমে এগুলি নিয়ন্ত্রন এর ব্যবস্থা করে থাকি তবে এ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিজিবিকে চাইতে হবে।