পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেছেন আগামীতে ইউনিয়ন পর্যায়ে তৃণমূল সাহিত্য মেলার আয়োজন করা হবে। তিনি বলেন সাহিত্য ও সংস্কৃতি একটি জাতির আত্মসত্তার ও আত্মমর্যাদার বিকাশ ঘটায়। যে জাতিস্বত্ত্বা তার নিজের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হতে পারে না। সেই জাঁতি দিনদিন সংস্কৃতি থেকে আদালাতা হয়ে বিশ্বের বুকে ধ্বংসের মুখে ধাপিত হয়েছে। তাই আমাদের গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাঙ্গালি সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে তৃণমূল থেকে তুলে আনার জন্য বর্তমান সরকার এবছর বাংলা একাডেমির মাধ্যমে সাংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এবং গণগ্রন্থগারের সহযোগিতায় দেশের প্রতিটি জেলার উপজেলা পর্যায়ে ‘‘তৃণমূল সাহিত্য মেলা/২৩’’ এর আয়োজন করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুদিন ব্যাপি উপজেলা সাহিত্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রিয়াজ উদ্দিন, বাংলা একাডেমির সহকারি সম্পাদক আবিদ করিম, জেলা শিল্পকলা একাডেমির জেলার কালচারাল অফিসার সৈয়দ জাকির হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, ভজনপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (অব.) ও কথা সাহিত্যিক শফিকুল ইসলাম, পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের সহকারি অধ্যাপক (অব.) হাসনুর রশিদ বাবু মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারি অধ্যাপক রিয়াজুল ইসলাম রিপন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান ও কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি অধ্যাপক বীরেন্দ্র নাথ বর্মন ও কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ এমদাদুল হক প্রমুখ।
এরআগে সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক ও উপজেলা পরিষদ চত্বর প্রদক্ষিণ করে। পরে বেলুন ও শান্তির পায়রা উড়িয়ে মেলাটির উদ্বোধন করা হয়। দুদিন ব্যাপী সাহিত্য মেলায় প্রায় শতাধিক কবি, কথা সাহিত্যিক, শিশু সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, গীতিকার, ছড়াকার, অনুবাদক, আবৃত্তিশিল্পী, সাহিত্য সংগঠক ও সাহিত্যপ্রেমী অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন প্রধান শিক্ষক কাজী মতিউর রহমান।