মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে পরিবেশ আইন অমান্য করে অবাধে টিলা কেটে সাবাড় করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি। ফলের বাগান করা ও ঘর বাড়ি নির্মানের অজুহাতে টিলা কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা হচ্ছে। পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এমপি পাহাড় ও টিলা কাটা বন্ধ করতে কর্মকর্তাদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেও এসব দেখও না দখার ভান করছে উপজেলা প্রশাসন।
সরেজমিন উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের ভরাডহর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মৃত আবদুল হাছিবের ছেলে জাবেদুল আলম সিপার বসতভিটার পাশের উঁচু পাহাড়ের মাঝখানের মাটি কেটে সমতল করে সরকারি খরচে মাল্টা বাগান করেছেন। টিলা কাটার বিষয়টি যাতে লোকজনের নজরে না পড়ে সেজন্য গাছ-গাছালি দিয়ে এটাকে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে।
এছাড়াও দক্ষিন বড়ডহর গ্রামের ফারুক মিয়ার স্ত্রী লেবু বেগম প্রায় ৩০ ফুট উঁচু একটি বিশাল টিলার মাটি কেটে বিক্রি করছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে। টিলার মাটি কেটে নেওয়ার ফলে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি বাড়ি ঝুঁকিতে রয়েছে। যে কোন সময় মাটি ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের লাঠিটিলা গ্রামের সাবেক আনসার সদস্য মাহমুদ আলী টিলার মাটি কেটে নিচু জমি ভরাট করছেন। টিলার মাটি কাটার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মাহমুদ আলী জানান, এলাকার অনেকেই মাটি কাটছে আমি কাটলে দোষ কোথায়!
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রঞ্জন চন্দ্র দে বলেন, টিলা কাটার বিষয়টি জেনেছি। তবে আইন অনুযায়ী টিলা কাটা অবস্থায় খবর পেলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। যেহেতু বিষয়টি পরে জেনেছি তাই পরিবেশ অধিদপ্তর কে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হবে। কাটা টিলায় সরকারি প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নেয়া হবে।