রাজশাহীর তানোরে পরোকিয়া প্রেমিক যুগোলকে গভীর রাতে থানা হাজত থেকে ছেড়ে দিয়েছে তানোর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকা বাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। একই সাথে পুলিশের এমন আটক ও ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে পুলিশের ভাবমুর্তি নিয়ে জন মনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী ও সচেতন মহল বলছেন, এধরনের ঘটনায় পুলিশ কোন ব্যবস্থা না রহস্য জনক কারেন ছেড়ে নেয়ায় সামাজিক অবক্ষয় বেড়ে যাচ্ছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলা তালন্দ ইউনিয়নের লছিরামপুর গ্রামের এমদাদুল হকের পুত্র নাইমের সাথে তানোর পৌর এলাকার গোল্লাপাড়া মহল্লার (সিনেমা হলের পার্শ্বের) জৈনক ব্যক্তির স্ত্রী (২ সন্তানের জননীর) সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয়ের সুত্র ধরে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
প্রেমিকার স্বামী মোহনপুর উপজেলার শ্যামপুর বাজারের একটি লেদে কাজ করেন। স্বামীর অগচরে তারা প্রায়দিন সন্ধ্যার পর প্রেমিকার বাড়ি (স্বামীর বাড়িতে) দৌহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এভাবেই তারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের দৌহিক সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলো।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রেমিক যুগোল স্বামীর বাড়িতে (প্রেমিকার বাড়িতে) তাদের দৌহিক শেষ হওয়া মাত্রই প্রেমিকার স্বামী রাত ৮ টার দিকে বাড়িতে আসেন। এ সময় প্রেমিক বাড়ি থেকে বের হওয়ার সুযোগ না পাওয়ায় প্রেমিকা তার প্রেমিককে খাটের চিতে লুকিয়ে রাখেন।
এর কিছুক্ষন পর রাতের খাবার খাওয়ার সময় খাটের নিচে নড়াচড়ার ও খুসুর খুসুর খস মস শ্বব্দ শনে প্রেমিকার স্বামী তার স্ত্রী জিঙ্গাসা করে খাটের নিচে কী যেন নড়াচড়া করছে ব্যাপার কি? এ সময় প্রেমিকার তার স্ত্রী বলেন কই কিছুনা। তারপরও এমন শ্বদ্ব শুনে প্রেমিকার স্বামী খাটের নিচে টর্চ লাইট দিয়ে দেখেন প্রেমিক খাটের নিচে শুয়ে আছে।
এসময় প্রেমিক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কররে চিৎকার চেচামেচিতে পার্শ্বের বাড়ির লোকজন এসে পণেমিককে আটক করেন এবং পুরো বিষয়টি জানতে চাইলে তারা প্রেমিক যুগোল সকলের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
এসময় প্রেমিকের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত সেখানে দামাদামি রফাদফা নিয়ে চলতে থাকে দাম কসাকষি। সেখানে তাদের মধ্যে রফা দফায় বনি বনা না হওয়ায়। ৯৯৯ নম্বারে ফোন করা হলে তানোর থানা সেকেন্ড অফিসার এসআই ইমরান হোসেন সংগীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে রাত সাগে ১১ টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রেমিক যুগোলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
এরপর থেকে রাত ১ টা পর্যন্ত তানোর থানা মোড়ে অর্ধশতাধীক লোকের সমাগম ঘটে। এ সময় তানোর উপজেলা তালন্দ ইউনিয়ন আ' লীগ নবনির্বাচিত সভাপতি আবদুল করিম মেম্বার নেত্রীত্বে মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে রপাদফা করে রাত ২ টার দিকে প্রেমিক যুগোলকে থানা হাজত থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এবিষয়ে তানোর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ইমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রেমিকা ধর্ষন মামলা করবেন এমন সর্তে প্রেমিক যুগোলকে আটক করে খানায় নেয়ার পর প্রেমিকা মামলা করতে চাচ্ছিলেন না জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বরের তারা উভয়ের মধ্যে আপোশ মিমাংসা করেছেন মর্মে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে ফোন করে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রহিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি এমন ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। পরে তিনি ফোন করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এসআই ইমরান হোসেন বিষয়টি রাতে আমাকে কিছুই জানায়নি এই মাত্র (তার ইমরানের) সাথে কথা বলে জানলাম কেউ মামলা দিতে চাইনি তাই তাদেরকে উভয়ের অভিভাবকের কাছে জিম্মায দেয়া হয়েছে বলেও জানান ওসি আবদুর রহিম।