পারিবারিক কলহের জেরে চার সন্তানের জননীকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে। এর আগে গলা টিপে স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে পেশায় কাঠমিস্ত্রি আবদুর রাজ্জাক দা নিয়ে স্ত্রীর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বুধবার দুপুরে শ্যামনগর উপজেলার গোডাউনমোড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটার পর থেকে মারাত্বক আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে হাসিনা বেগম নামের ঐ নারী। এদিকে মারপিট ও হত্যা চেষ্টার ঘটনার দু’দিন পরও চিকিৎসাধীন স্ত্রীর সেবা শ্রশ্রুষার ব্যবস্থা না করে বরং আবদুর রাজ্জাক নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ হাসিনা বেগমের। পিতৃ-মাতৃহীন ঐ নারীর অভিযোগ স্বামীর ভয়ে তিনি বাড়িতে ফিরতে পারছে না। আবার যাওয়ার মত জায়গা না থাকায় নিদারুন অসহায়ত্বের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করছেন।
হাসিনা বেগম জানান গত কয়েক বছর ধরে তার স্বামী কারণে অকারনে তার উপর উপর মাররীক নির্যাতন করে আসছে। একইভাবে গত বুধবার তাকে মারধরের একপর্যায়ে তিনি প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে তাকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। একপর্যায়ে স্বামীর হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দৌড়ে পালানোর সময় ঘরে থাকা দা দিয়ে তার পায়ের মধ্যে কোপ দেয়া হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত ডাঃ শিরুজ্জামান জানান ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হাসনা বেগমের পায়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হওয়ায় পাঁচটি সেলাইয়ের প্রয়োজন পড়েছে। তিনি ইচ্ছে করলেও চিকিৎসাপত্র নিয়ে বাড়িতে পিরতে পারেন। তবে স্ত্রীর উপর হামলার বিষয়ে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেও অভিযুক্ত আবদুর রাজ্জাকের সাথে কথা বলা যায়নি।