গাইবান্ধা গণপূর্ত বিভাগে গত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে বার্ষিক কর্ম-কান্ডে অনিয়ম ও অর্থ অপচয়ের মাধ্যমে টাকা পকেটস্থ করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও গাইবান্ধা গণপূর্ত কার্যালয় চত্তরের বাগান, প্রাচীর মেরামত সংস্কারসহ আনুষঙ্গিক কাজে ঠিকাদার কাজ সম্পন্ন করেও কাজের বিল না পাওয়ায়, ঠিকাদার গণপূর্ত বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
জানাগেছে, গাইবান্ধা গণপূর্ত বিভাগে গত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে বার্ষিক কর্ম-কান্ডে আবাসিক ভবন ও অনাবাসিক ভবন সহ আনুষঙ্গিক কাজের ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত প্রায় চার কোটি টাকার একটি অংশ বা নামে মাত্র টাকা খরচ করে সম্পুর্ন কাজ সমাপ্ত দেখিয়ে সিংহভাগ টাকাই কর্তৃপক্ষ ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন। এই বিভাগে কাজের দরপত্র আহবানে এলটি এমের পরিবর্তে ওটিএমে দরপত্র আহবান করে কাজ করায় অনেক ঠিকার কাজ পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ সকল অনিয়ম ও অর্থ অপচয়ের ব্যাপারে গণপূর্ত বিভাগের গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসাদুজ্জামানের মতামত চাওয়া হলে তিনি বলেন, কাজ যথা সমায়ে সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কোন কাজে কোন অনিয়ম করা হয়নি।
অপর দিকে গাইবান্ধা গণপূর্ত বিভাগের আওতাধীন সরকারী ষ্টাফ কোয়াটারের পোল পরিবর্তন ও প্যানেল বোড পরিবর্তন সহ পাম্প মোটর মেরামত কাজ না করেই সংশ্লিষ্ট কর্মকতা সম্পুর্ণ টাকা পকেটস্থ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেলেও সে অভিযোগের তদন্ত না করেই নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন কাজ সঠিক ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অথচ এই প্রকল্পের কাজ না করেই বিলও পরিশোধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদন্ত প্রয়োজন।
এদিকে গাইবান্ধা গণপূর্ত কার্যালয় চত্তরের বাগান, প্রাচীর মেরামত সংস্কারসহ আনুষঙ্গিক কাজে ঠিকাদার কাজ সম্পন্ন করেও কাজের বিল চেয়ে অনেক সময় অপচয় করে বিল না পাওয়ায়, মেসার্স খন্দকার এন্টার প্রাইজের প্রোঃ শাহ মোঃ মুনছুর রহমানের পক্ষে ব্যারিষ্টার এসএস আরেফিন জুননুন (সুপ্রিম কোর্ট), গত ২৫ জুলাই/২৩, গণপূর্ত বিভাগের সচিব, প্রধান প্রকৌশলী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (রংপুর) ও নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে মেসার্স খন্দকার এন্টার প্রাইজের প্রোঃ শাহ মোঃ মুনছুর রহমানের দাবীকৃত পাওনা টাকা পরিশোধের কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় পরবর্তিতে আইনানুগ সকল ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও নোটিশে জানান হয়েছে।