বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান (এমপি) বলেছেন ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে তারা (বিএনপি-জামায়াত) আমাদের শ্রমিকদের রক্ত দিয়ে ক্ষমতা যাওয়ার সিঁড়ি তৈরি করতে চেয়েছিলো। আজকেও ঢাকায় তারা দুটো বাস পুড়িয়েছে। বাস পুড়িয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার কথা নয়। এ সময় শ্রমিকদের উপর যদি কেউ অন্যায়ভাবে কখনো কোনো অত্যাচার করে, গাড়ি পোড়ানো হয় তাহলে অন্যায়কারীদের শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে বলে হুশিয়ারী প্রদান করেন। শনিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ট্রাক, ট্রাংকলরী ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক সাধারণ সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
দীর্ঘ ২৫ বছর পর অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে শ্রমিকদের এই সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান (এমপি) আরও বলেন, রাজনৈতিক দল জনগণের ভোটে ক্ষমতায় যাবে এটাই বিধান। বিএনপি জামায়াকে উদ্দেশ্য করে প্রধান অতিথি বলেন, আমরা দেখেছি গত ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে কিভাবে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছ হয়েছে। প্রেট্রল বোমা নিক্ষেপ করে ড্রাইভার, হেলপার, যাত্রীদেরকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। সেসময় ১০০০ গাড়ি পুড়িয়েছে, ৩০০০ গাড়ি ভাংচুর করেছে, ৯২ জন ড্রাইভার হেলপারকে হত্যা করেছে, শতাধিক শ্রমিক পঙ্গু হয়েছে, তিন শতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছে।
শাজাহান খান তার বক্তব্যে আরো বলেন, আমরা শ্রমিক আমাদের মাঝে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতভেদ থাকতে পারে। আমরা শ্রমিকদের স্বার্থ কখনো জলাঞ্জলি দিবো না। আমাদের মনে রাখতে হবে যার যার দল তার তার সড়ক পরিবহন শ্রমিক এক কাতার।
লালমনিরহাট জেলা ট্রাক, ট্রাংকলরী ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পুলিন রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ ত্রি-বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধন করেন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ মতিয়ার রহমান। সভায় প্রধানবক্তা হিসেবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, বিশেষ অতিথি হিসেবে রংপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ, লালমনিরহাট ট্রাক ট্যাংক লড়ী কার্ভাডভ্যান, মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আঃলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
লালমনিরহাটে শ্রমিকদের এই সাধারণ সভা শুরুর পূর্বে সভাস্থলে প্রবেশকরাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে যেখানে দুই গ্রুপের অন্তত তিনজন শ্রমিক আহত হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে সভার কার্যক্রম শুরু হয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাপ্তি হয়। সভা শেষে শ্রমিকদের নেতা নির্বাচনে নির্বাচন পূর্ব প্রস্তুতি ও নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। যে কমিটিকে সাদরে গ্রহণ করে করতালির মাধ্যমে অভিবাদন জানায় সাধারণ শ্রমিকরা।