রাজশাহীর তানোরে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধুকে মধ্যযগীয় কায়দায় নির্যাতন ও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন স্বামী। মুমুর্শ অবস্থায় ওই গৃহবধুকে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তবে, ওই গৃহবধু এখনো শংখ্যা মুক্ত নয়। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে তানোর পৌর এলাকার চাপড়া মহল্লায়। এ ঘটনায় গৃহবধু বাদি হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ ও প্রতিবেশী সুত্রে জানা গেছে, গত ২ বছর আগে তানোর উপজেলার তালন্দ ইউপির কালনা গ্রামের এমাজ উদ্দিনের কন্যা এরিনা পারভিন (২০)'র সাথে তানোর পৌর এলাকার চাপড়া মহল্লার মৃত আবদুল লতিফের পুত্র হাবিবুর রহমান (২৫)'র বিয়ে হয়। তাদের ১ টি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্বামী হাবিবুর কারণে অকারনে স্ত্রী এরিনা মারপিট ও নির্যাতন করেন। গত শুক্রবার সকালে স্বামী হাবিবুর তার স্ত্রী এরিনাকে বাবার বাড়ি থেকে কিছু টাকা আনতে বলেন। এ সময় এরিনা বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে আস্বীকার করলে স্বামী হাবিবুর ও শ্বাশুড়ি পারুল বিবি কিল ঘুষি ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন। বেধড়ক মারপিটে গৃহবধুর বাম চোখ নষ্ট হওয়ার মত অবস্থাসহ শরীরের বিবিন্ন স্থানে সিরা ফুলা ও কালশিরা জখমের সৃষ্টি হলে তার স্বামী ও গৃহবধুর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় গৃহবধুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে ওই গৃহবধুকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায ওই গৃহবধু বাদি হয়ে স্বামী ও শ্বাশুড়িকে আসামি করে তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে, তানোর থানা পুলিশ এঘটনায গত শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি বলে জানান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ এরিনা পারভিন। এ বিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রহিম বলেন, অভিযোগ হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।