বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় ব্যাপক দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছেন। ডজন খানেক সম্ভাব্য প্রার্থী ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়ে রং বেরং এর পোষ্টার সেটেছেন দেয়ালে দেয়ালে। এছাড়াও বগুড়া ১ নির্বাচনী এলাকার গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠক, জনসংযোগ সভা- সমাবেশ ও মোটরসাইকেলের শোডাউন চালিয়ে যাচ্ছেন সম্ভব্য প্রার্থীরা। মন জয় করতে আওয়ামী লীগের সম্ভব্য প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি দোয়া খায়েরও চাচ্ছেন।নির্বাচনী এলাকার ছোট বড় সবার সাথে আগ বাড়িয়ে কুশলাদী বিনিময় করছেন,সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এমন হাব ভাব দেখাচ্ছেন যে তাদের সাথে মনে হয় কত দিনের পরিচয়। এরইমধ্যে স্হানীয় সাংসদ সাহাদারা মান্নান সহ কয়েক জন প্রার্থী মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন।এর মধ্য উল্লেখযোগ্য সম্ভাব্য প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপি। স্হানীয়রা জানান এ মটর সাইকেল শোডাউন স্মরনতীত কালের। স্হানীয়দের কেউ কেউ বলছেন, এমন মোটর সাইকেল শোডাউন আমরা এর আগে কখনো দেখিনী। মোটর সাইকেল শোডাউন টি বগুড়া,১ নির্বাচনী এলাকা সারিয়াকান্দি - সোনাতলা প্রধান প্রধান রাস্তাঘাট ছাড়াও উপজেলা দুইটির আনাচে কানাচে সড়কে শোডাউন করে। এ সময় গ্রামের অনেক লোক হাত নাড়িয়ে তাকে অভিবাদন জানান। এ সময় শাহাজাদী আলমও খোলা জিপ গাড়ীতে দাড়িতে উপস্থিত সবাইকে সালাম জানিয়ে দোয়া চান।এই শাহাজাদী আলম লিপি ডিআইজি হামিদুল আলম মিলনের স্ত্রী। তিনি রোববার সকালে মোটর সাইকেলে শোডাউন করে জানান দিলেন তার অবস্হান। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার সহধর্মীর শোডাউনে আগত কর্মী সমর্থকেরা বলছেন, এত বড় মোটর সাইকেল শোডাউনে যোগ দিতে পেরে আমরা গর্বিত। এরকম মোটরসাইকেল শো ডাউনে আর কখনো যোগ দিতে পেরেছি বলে মনে করতে পারছি না।
সারিয়াকান্দির ডিগ্রী কলেজ মাঠে রোববার সকাল ৯ টা থেকে জড়ো হতে থাকে, শোডাউনে যোগদান কারিরা। মাঠ টি মোটর সাইকেল, থ্রী- হুইলার সি এন জি, হাইচ ও কার চালকদের পদাচারনায় টইটুম্বুর হয়ে ওঠে কলেজ মাঠ।যানবাহনের ভ্যাপু শব্দে কান ঝালা পালা হয়ে উঠে স্হানীয়দের। সকাল ৯ টা থেকে ১১ টা চলতে থাকে সারিয়াকান্দি এই কলেজ মাঠ। এ সময় যানবাহনের শব্দে কলেজে আগত শিক্ষক কর্মচারী ও ছাএছাএীরা একটু বিব্রত বোধ করলেও আমলে নেননি তারা। এরপর সকাল ১১.৩০ টায় যানবাহনের যাএা। সারিয়াকান্দি ডিগ্রী কলেজের ২ নং গেট দিয়ে এক এক করে বের হতে থাকে যানবাহন গুলো। উপজেলার পরিষদের প্রধান সড়কে খানিক টা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হলেও কর্ণপাত করেননি কেউ এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হামিদুল আলম মিলন, এন এস আই কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম নয়ন, চালুয়াবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম বাবুল, উপজেলা স্বাহ্য ইন্সপেক্টর রিপন সহ অনেক গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও কর্মী সমর্থক দল এই শো ডাউনে অংশ নেয়। গণ্যমানরা শোভাযাত্রায় গাইড লাইন প্রদান করেন।ওই মোটর সাইকেলের শোডাউনে আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য হাটশেরপুর ইউপির সাবেক সদস্য এফাজ উদ্দিন জানান, রোববারের ওই মোটর সাইকেল শোভাযাএায় কম পক্ষে এক হাজার আটশত মোটর সাইকেল, চারশত, আশি টি সি এনজি, চৌদ্দ টি হাইচ ও তিনটি কার মোটর সাইকেল শো ডাউনে অংশ নেয়।। এফাজ উদ্দিন আরও বলেন,শো ডাউনে তিনটি পিক আপে তিন দল ব্যান্ড পাটি ছিলো।সাড়ে এগারোটায় কলেজ মাঠ থেকে মোটর সাইকেলের শোডাউন টি বের হবার আগে কলেজ একাডেমীক ভবনের সামনে আওয়ামী লীগের সম্ভব্য প্রাথী শাহজাদী লিপিবক্তব্য রাখেন, তিনি বলেন, আমি যদি এমপি নির্বাচিত হতে হতে পারি তবে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে,, নদী ভাঙ্গন এলাকার কর্মহীন মানুষদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। এছারাও সুখি সমৃদ্ধ সারিয়াকান্দি সোনাতলা গড়ে তোলা হবে। আপনাদের পাশে থেকে কাজ করতে এলাকার কাজ করতে চায় আমি।
বক্তব্য শেষ করার পরপরেই শুরু হয়ে যায় মোটর সাইকেল শোডাউন। মোটর সাইকেলের সো ডাউন দুই উপজেলা প্রধান সড়ক ছাড়াও অলি গলি রাস্তাঘাট প্রদক্ষিণ করে।