রংপুরের পীরগাছায় ২ বছরের সন্তান রেখে টাকা ও গহনা নিয়ে গভীর রাতে ঘরের সিঁধ কেটে পালিয়ে গেছে এক প্রবাসীর স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার রাতে পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের রামচন্দ্র গ্রামে। পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই গৃহবধু নগদ ৬৫ হাজার টাকা ও ২৬ হাজার টাকা গহনা নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করছেন তার শ্বশুর রুস্তম আলী। এ নিয়ে ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ওই গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী মাসুদ রানা (৩০) এর সাথে তিন ভচর আগে পাশ্ববর্তী সেচাকান্দি গ্রামের আবদুর রশিদের মেয়ে মাহমুদা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে মোস্তাকিন নামে দুই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এদিকে সংসারের স্বচ্ছলতার কারণে গত দেড় মাস আগে মালয়েশিয়া চলে যান মাসুদ রানা। স্বামী প্রবাসে যাওয়ার পর গৃহবধু মাহমুদা আক্তার গত বুধবার রাত ২ টার দিকে তার দুই বছরের সন্তানকে ঘরের বিছানায় বসিয়ে রেখে নিজ ঘরের পিছনে দিকে সিঁধ কেটে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে অবুঝ শিশু মোস্তাকিনের কান্নাকাটি শুনে তার দাদা-দাদি ও পাড়া প্রতিবেশিরা ডাকাডাকি করলেও কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা খুলে শিশুটিকে একাই কান্না করতে দেখেন। এ সময় তারা ঘরের পিছনে দুই ফুট আকারের একটি সিঁধ কাটা দেখতে পান। এর কিছুক্ষন পরেই একটি অপরিচিত মোবাইল ফোন থেকে রুস্তম আলীকে জানানো হয় তার পুত্রবধু মাহমুদা আক্তার দাদার বাড়ি যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বেড়িয়ে এসেছে। অপরপ্রান্ত থেকে তাকে আটকের কথা বললে তিনি দৌড়ে পালিয়ে গেছে বলে ফোন কেটে দেন। পরদিন রুস্তম আলী খোঁজখবর নিয়ে জানতে পান তার পুত্রবধু প্রতিবেশি দাদা সামাদের বাড়িতে অবস্থান করছেন। ঘটনার ৪দিন পরও মেয়েটি তার দাদা বাড়িতে রয়েছে বলে জানান রুস্তম আলী ও তার পরিবার।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, আমরা এ জন্মেও শুনিনি যে, সিঁধ কেটে বউ পালায়! তার স্বামী বিদেশে, সে তো যখন-তখন যেতে পারতো। আর দুই বছরের সন্তান রেখে গেলো, সন্তানের মায়াও করলো না। এলাকাবাসীর ধরনা মেয়েটি অন্য ছেলের সাথে সর্ম্পক থাকায় সে এ কাজ করছে।
গৃহবধুর শ্বশুর রুস্তম আলী বলেন, আমার ছেলে বাড়িতে থাকা অবস্থায় মেয়েটি আরো দুই বার পালিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে মিমাংসা করে এনেছি। আমার ছেলে বিদেশ যাওয়ার সময় অতিরিক্ত ৩৫ হাজার ও আমার বীজ বিক্রির ২৯ হাজার, কিস্তির এক হাজারসহ ৬৫ হাজার টাকা এবং আমার স্ত্রীর ২৬ হাজার টাকার গহনা নিয়ে পালিয়ে গেছে মেয়েটি। মাত্র ২ বছরের সন্তান রেখে মেয়েটি সিঁধ কেটে পালিয়ে গেলো। সন্তানের প্রতি তার মায়া-মমতা নেই। ৪ দিনেও সে খোঁজ নেয়নি সন্তানের। এখন সে তার দাদার বাড়িতে আছে।
এ বিষয়ে গৃহবধু মাহমুদা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি এর আগে পালিছে বলে জানি। এখন আমি তার সাথে দেখা করতে গেলেও তার দেখা পাইনি। মেয়েটি নাকি দাওয়াত খেতে গেছে।