নওগাঁর রাণীনগরে প্রকাশ্য দিবালোকে একটি মুদি দোকান ঘর ভাংচুর করে প্রায় এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় রাণীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাটরাসিন সিংগারপাড়া গ্রামে।
ভুক্তভোগি ওই গ্রামের নিজাম উদ্দীন দপ্তরীর ছেলে জান্টু দপ্তরী অভিযোগ করে বলেন,তার বাড়ীর জায়গা ছোট ভাই জামিরুলের কাছে বিক্রি করেছেন। কিন্তু বাড়ীর বারান্দায় ডাস্কো সংস্থার সহায়তায় একটি মুদি দোকান ঘর করে ব্যবসা করে আসছিলেন। এরইমধ্যে ছোট ভাই জামিরুল দপ্তরী দোকান সরিয়ে নিতে বার বার তাগাদা দেয়। কিন্তু জায়গা না থাকায় দোকান সরিয়ে নিতে দেরি হচ্ছিল। এ ঘটনায় প্রায় দেড় মাস আগে গ্রামে গ্রাম্য বৈঠক বসলে ওই বৈঠকে ৪৫দিন সময় চেয়ে নেন তিনি। এরইমধ্যে জান্টুর স্ত্রীর পায়ে গরম তেল পরে পা পুড়ে যাওয়ায় সময় মতো দোকান ঘর সরে নিতে পারেননি। কিন্তু রোববার সকালে গ্রামের রেজাউল ইসলামসহ কয়েকজন মাতাব্বরের উপস্থিতিতে ভাই জামিরুল দোকান ভেঙ্গে নেয়ার জন্য চাপ দেয়। এ সময় আরো একদনি সময় চাইলেও সময় না দিয়ে দোকান ঘর ভাংচুর করে নগদ টাকাসহ প্রায় একলক্ষ ৩০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে দাবি করেন জান্টু। এ ঘটনায় তিনি রোববার রাণীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এব্যাপারে জামিরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে আমার জায়গা জবর দখল করে রেখেছিল ভাই জান্টু। গ্রামে বৈঠক করে সময় নিলেও সময় মতো দোকান ঘর সরে নেয়নি। পরে মাতাব্বরদের উপস্থিতিতে জান্টু নিজেই ঘর ভেঙ্গে নিয়ে আমার ঘারে দোষ চাপাচ্ছে।
গ্রাম্য মাতাব্বর রেজাউল ইসলাম বলেন, জামিরুল আমাদেরকে ডেকে নিয়ে গিয়ে জামিরুল ও তার লোকজন ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে। তবে ঘরে কোন মালামাল ছিলনা বলে দাবি করেন তিনি। তবে ঘর ভাংতে গ্রামের কেউ হুকুমও দেয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন,এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়ে সেখানে একজন অফিসারকে পাঠানো হয়েছিল। যেহেতু ঘটনাটি নিজেদের মধ্যে তাই উভয় পক্ষ বসে সমাধান না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।