গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঘোষিত কমিটি নিয়ে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, একাধিক নেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেবুকে পোস্ট করে অব্যাহতি চেয়েছেন, দিয়েছেন পদ ত্যাগের হুমকি।
জানা যায়, গত ২৯ জুলাই শনিবার মুন্সীগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল মাহমুদ বাবু ও সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম পিন্টুর যৌথ স্বাক্ষরিত স্বেচ্ছাসেবক লীগের অফিসিয়াল প্যাডে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট গজারিয়া উপজেলা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই নেতা কর্মীদের মাঝে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
এ বিষয়ে সোমবার রাত ৯টার দিকে নবগঠিত কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মাসুম সরকার তার ফেসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাস দিয়ে ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, আমি সুস্থ মস্তিষ্কে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ এর সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলাম এবং স্ব-ইচ্ছায় নিজে থেকে পদত্যাগ করলাম।
নব ঘোষিত কমিটির সদস্য ওমর আলী পালোয়ান স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, আমি দীর্ঘ আঠারো বছর যাবৎ উপজেলা আওয়ামী যুব লীগের ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছি, আগামী দিনে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে থাকার আশা রাখি, সেখানে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আমাকে না জানিয়ে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখে, যে কারণে আমি লজ্জিত বোধ করছি, আমি এই পদ থেকে পদত্যাগ করবো।
এছাড়াও একাধিক নেতা কমিটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, নব ঘোষিত কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সিকদার মো:জামান হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, আমি গত কমিটির দপ্তর সম্পাদক ছিলাম কিন্তু দু:খের বিষয় পদোন্নতি না দিয়ে আমাকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে যা অত্যন্ত দু:খজনক।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নব ঘোষিত কমিটির সভাপতি হাজী মো: মোজাম্মেল হক বলেন, কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন জেলা, তাঁরা নেতা কর্মীদের বিগত সময়ের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করে পদ দিয়েছেন, এ বিষয়ে আমাদের তো কিছু করার নেই।
সার্বিক বিষয়ে জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল মাহমুদ বাবু জানেন, এখনো কারো পদত্যাগ পত্র পাই নাই, পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।