পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার নেছারিয়া বালিকা আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল হকের ঘুষ দাবির একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া অডিও সূত্রে জানা গেছে, একই মাদরসার ৫ শিক্ষকের উচ্চতর স্কেলের জন্য কাগজ-পত্র প্রস্তুত করতে তিনি ওই ঘুষ দাবির করেন। অডিওতে ওই অধ্যক্ষর সাথে শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেলের কাগজপত্র প্রস্তুত করতে ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গাজী মো. মিজানুর রহমান সহ ওই মাদ্রাসার শিক্ষক প্রতিনিধি সেলিম ফরাজীর সাথে কথা বলতে শোনা যায়। এতে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষকে শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেলের কাগজপত্র প্রস্তুত করতে অনুরোধ করেন। এ সময় অধ্যক্ষ ওই কাজের পারিশ্রমিক বাবদ শিক্ষকদের কাছে সম্মানী দাবী করেন। এসব কথার একপর্যায়ে সভাপতি ওই সম্মানীকে ঘুষ বলেন। তখন অধ্যক্ষ ওই কাজকে তার অতিরিক্ত দায়িত্ব দাবী করে তা ঘুষ নয় পারিশ্রমিক হিসাবে ওই সম্মানী দাবী করেছেন বলে শোনা যায়। এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ মুঠোফেনে ফোন দিলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ৫-৬ জন শিক্ষকের উচ্চতর স্কেল প্রাপ্তির সময় অতিক্রম করেছে। তারা তাদের উচ্চতর স্কেলের জন্য আমাকে অনুরোধ করেন। বিষয়টির জন্য অধ্যক্ষ সহ শিক্ষকদের সাথে বসা হয়। তখন অধ্যক্ষ ওই কাজের পারিশ্রমিক হিাসেব টাকা দাবী করেন। বিষয়টি কোন মাধ্যমে হয়তো রেকর্ড করে ছাড়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডাক্তার সঞ্জীব দাশ জানান, বিষয়টি অনুসন্ধান পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।