শেরপুর সদর উপজেলার রামেরচর গ্রামের কৃষক কবজ উদ্দিন হত্যা মামলার তিন আসামিকে পঞ্চগড় থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানার ডাঙারপাড়া থেকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও তার দুই সহযোগীকে সোমবার (৩১ জুলাই) গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব ১৪ (সিপিসি-১) জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার আশিক উজ্জামান মঙ্গলবার (১ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রামেরচর গ্রামের আমির হকের ছেলে মো. লিটন মিয়া (২৫), মৃত আবদুল করিমের ছেলে মো. নাছির মিয়া (৩৫) ও মৃত আবদুল মোতালেবের ছেলে মো. শরিফ মিয়া (৩৫)।
র্যাব জানায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রামেরচরের কৃষক কবজ আলী ও প্রতিপক্ষের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ চলছিল। বিরোধের জেরে গত ১৬ জুলাই কবজ উদ্দিনের চাচাতো ভাই মো. মিষ্টার আলী (৩৮) এবং তার ভাই মো. লিটন মিয়া (২০) কবজ আলীকে মারপিট করে। পরে থানায় একটি মামলাও করে মো. মিষ্টার আলী। এদিকে, গত ২৬ জুলাই রাতে কবজ উদ্দিন রাতের খাবার খেয়ে স্থানীয় ছনবাজারের উদ্দেশ্যে বের হন। কিন্তু তিনি বাড়িতে না আসায় তার স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ২৭ জুলাই সকালে স্থানীয় এক সবজি ক্ষেতে মরদেহ পড়ে আছে খবর পেয়ে পুলিশ কবজ উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোছা. মরিয়ম বেগম সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামানের নেতৃত্বে র্যাবের একটি অভিযানিক দল গত ৩১ জুলাই রাতে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানার ডাঙারপাড়া এলাকা থেকে এই হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব ১৪ (সিপিসি-১) জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার আশিক উজ্জামান বলেন, কৃষক হত্যা মামলার তিন আসামিকে শেরপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাবের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।