চলতি বর্ষা মৌসুমেও পাবনার সুজানগরের ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলে তেমন পানি নেই। ফলে প্রয়োজনীয় পানির অভাবে এ বছর বিলে মাছের অভাব দেখা দেওয়ার পাশাপাশি বিলের জমিতে আবাদ করা বোনা আমন ধানের ফলন বিপর্যায়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিলপাড়ের শারীরভিটা গ্রামের বাদশা শেখ বলেন বর্ষা মৌসুমে গাজনার বিলে পর্যাপ্ত পানি না আসলে উপজেলার মৎস্যজীবী এবং কৃষকদের আর্থিক সংকট দেখা দেয়। কেননা এ সময় বিলে পর্যাপ্ত পানি আসলে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন আর বিলপাড়ের কৃষকরা বিলের জমিতে পানির ধান হিসেবে খ্যাত বোনা আমন ধান আবাদ করে সংসারে সচ্ছলতা বয়ে আনেন। কিন্তু ভরা বর্ষা মৌসুম চললেও বিলে পর্যাপ্ত পানি নেই। উপজেলার বোনকোলা গ্রামের রইচ উদ্দিন খান বলেন বর্ষা মৌসুমে গাজনার বিলে পানি আসার প্রধান উৎস পদ্মা এবং যমুনা নদীর পানি। পদ্মা এবং যমুনা নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকলে সেই পানি উপজেলা বাদাই স্লোইচগেট দিয়ে গাজনার বিলে প্রবেশ করে। কিন্তু এ বছর পদ্মা এবং যমুনা নদীতেই তেমন পানি নেই। অথচ পর্যাপ্ত পানির উপর নির্ভর করেই বোনা আমন ধান বেড়ে উঠে। বর্তমানে বিলে যে পানি আছে তা ওই ধান বেড়ে উঠার জন্য যথেষ্ট নয়। তাছাড়া তেমন বৃষ্টিপাতেরও দেখা নেই। ফলে পানির অভাবে আমন ধান ঠিকমতো বেড়ে উঠতে না পারলে ফলন বিপর্যয় হতে পারে বলে বিলপাড়ের কৃষকরা জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন পর্যাপ্ত পানির অভাবে একদম বিলপাড়ের কিছু জমির ধানের ফলন কম হতে পারে। তবে বিলের মাঝভাগের ধানের ফলনে কোন সমস্যা হবেনা।