জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌর এলাকার ইটাখোলা বাজারের অদুরে খাড়ির পাড়ে শশ্মানের রাস্তা পূনঃনির্মান ও পাকাকরনে আংশিক কাজ করে বরাদ্দের সব টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানাগেছে, ক্ষেতলাল পৌর এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মৃতদেহ দাহকার্য সম্পূর্ণ করার একমাত্র শ্মশানঘাট ইটাখোলা বাজারের অদূরে খাড়িরপারে অবস্থিত। সেখানে চলাচলের কোন রাস্তা ছিলনা। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা-কাবিটা) কর্মসূচি আওতায় প্রথম পর্যায় নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক শশ্মানে যাওয়ার রাস্তা পাকাকরনসহ পূনঃনির্মান কাজের জন্য ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) অফিস। সেই মোতাবেক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা পিআইসির মাধ্যমে কাজটি করার কার্যাদেশ দেন কর্তৃপক্ষ। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের শেষের দিকে ইটাখোলা বাজারের স্থানীয় এক ঠিকাদার স্কেবেটর (ভেকু) দিয়ে পাশ্বের ফসলী জমির মাটি কেটে রাস্তার আংশিক নির্মান কাজ করেন। ওই রাস্তার আংশিক (বিশ শতাংশ) মাটি ভরাট দেখিয়ে প্রকল্পের কর্তাদের যোগসাজসে প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তিতে বরাদ্দের ৩ লাখ সমদয় টাকা উত্তোলন করেন তারা। বরাদ্দের অর্থবছর ২০২১-২০২২ শেষ হয়ে নতুন অর্থবছর ২০২২-২৩ এর জুন/জুলাই অতিবাহিত হলেও ওই রাস্তার পূনঃনির্মান ও পাকা করনকাজে দৃশ্যমান হয়নি।
ক্ষেতালাল উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ খৃষ্টান পরিষদের সভাপতি স্বপন কুমার রায় বলেন, আমাদের শ্বশানের রাস্তা পাকা করন গত বছর শুরু করে আজ পর্যন্ত শেষ হয়নি। পিআইও কে বললে তিনি দুই এক সপ্তাহের মধ্যে বাঁকী কাজ শেষ করা হবে।
ইটাখোলা শ্বশানের রাস্তা নির্মান কাজের পিআইসির সভাপতি জুলফিকার আলী চৌধুরী বলেন, রাস্তা নির্মানের জন্য পাশের জমি মালিকদের বাঁধার কারণে ওই রাস্তার কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। বরাদ্দের বাঁকী টাকা পিআইও‘র নিকট রাখা আছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রুহুল আমিন পাপন বলেন, স্থানীয় জটিলতার কারণে প্রকল্পের পিআইসি সঠিক সময়ে কাজ শেষ না করায় ওই রাস্তা নির্মানের বাঁকীটাকা ডিউ আকারে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে আর একটা প্রজেক্টের সাথে সমন্বয় করে অচিরেই কাজটি শেষ করা হবে।