ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে বারোবাজার মাঝদিয়া সড়কে ব্রিজ ভেঙ্গে যাবার কারণে সাধারন মানুষ ও বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে মারাত্নক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ সংযোগ সড়ক ও ব্রিজ দিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা এবং অত্র এলাকার লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র যাতায়াতের পথ এটি। শুধু তাই নয়, যশোর, কালীগঞ্জ, মাগুরা যাবার যাতায়াতের একমাত্র সড়কও এটি। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের ব্রীজটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙ্গে পড়ার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে আছে। ব্রিজটি দিয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এবং এটি পরিণত হয়েছে মরদ ফাঁদে।
স্থানীয়রা জানান, এ ব্রিজ দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল করতে না পারায় এলাকায় নির্মাণ সামগ্রীসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া অটোরিকশা, অটোভ্যান, নসিমন, করিমন, আলমসাধু, মোটর সাইকেলসহ যানবাহন গুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দুর্ভোগ লাঘবের আশ্বাস দিলেও ব্রিজটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
ব্রিজটি কালীগঞ্জ মাঝদিয়া বাওড়ের কাছে সর্বসময় যানবাহন চলাচলে ব্যাস্ত থাকে। এ সড়ক ও ব্রিজ দিয়ে পার্শবর্তী মশিহাটি, মাঝদিয়া, সুবর্নসারা. বারোবাজার, নাটোপাড়া, ঝাউদিয়া, মেছমত, লেবুতলাসহ বিভিন্ন গ্রাম ও যশোর, মাগুরা, কালীগঞ্জ চলাচলের একমাত্র ভরসা। ভেঙে যাওয়া ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও প্রতিদিন হাজারও মানুষ ও ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে। কিন্তু দূর্ঘটনার ভয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ব্রিজটি ক্রমেই ভাংতে শুরু করেছে যে কারণে ঝুকির পরিমান বৃদ্ধি পাঁচ্ছে। এ ছাড়া ডাক্তার রওশন আলী ডিগ্রী কলেজ, আইশা ফুলজান মেমোরিয়াল দাখিল মাদ্রাসা, মশিহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রি ও শিক্ষরা প্রতিনিয়িত চলাচল করে থাকে। এ সড়ক ও ব্রিজ টি ব্যাস্ততম থাকায় যানচলাচলে ঝুকি বৃদ্ধি পাঁচ্ছে এলাকার কাচামাল, কৃষকদের বিভিন্ন ফসল নিয়ে যাবার একমাত্র ভরসা। মাঝদিয়া বাওড়ের মাছ আনানেওয়া করতে হয় এ ব্রিজ দিয়ে। বিশেষ করে বারোবাজার, কালীগঞ্জ, মাগুরা ও যশোর এলাকায় ট্রাক ভর্তি করে বিভিন্ন মালামাল বহনের একমাত্র ভরসা এই ব্রিজ। কিন্তু বর্তমানে ব্রিজটি ভেঙ্গে যাবার কারণে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আবার এলাকাবাসী বলছেন অনেক অপরিচিত যানবাহন চলাচল করতে গেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে বলে এমনটাই আশা করছেন। ব্রিজের উপরের একপাশে ভেঙ্গে পড়ে ঢালায়ের রড বেরিয়ে রয়েছে, যে কারণে ভারি কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন, ফলে এলাকার মানুষ লম্ভা একটি বাঁশ দিয়ে নিশানা করে রেখেছে। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয়দের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা প্রয়োজন বলে এলাকাবাসী মনে করেন।