জামালপুরের সরিষাবাড়িতে লাম্পি স্কীন ডিজিজ নামক এক ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে কৃষকের গৃহ পালিত পশু গরু বাছুর। দীর্ঘদিন যাবত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে অনেক কষকের গরু। ফলে এলাকায় কৃষকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরিষাবাড়ি উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, ৩ আগস্ট পর্যন্ত লাম্পি স্কীন ডিজিজে আক্রান্ত হযে ৫৮টি গবাদি পশু মারা গেছে। এ রোগ প্রতিরোধে সম্ভাব্য সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রাণি সম্পদের আওতায় ২ হাজার গবাদি পশুকে এলএসডি টীকা ও ১৩৩৮ টি পশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে চিকিৎসার মাধ্যমে ৮৬১ টি গরু সুস্থ্য হয়েছে। গবাদি পশুর মালিকদের লাম্পি স্কীন ডিজিজ বিষয়ে সতর্কতা ও সচেতনা মূলক ২৬টি উঠোন বৈঠক করেছেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস। পৌরসভাসহ উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ১৫, টি ভেটেরিনারী মেডিকেল টীম করে চিকিৎসা ও সতর্কতা মূলক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ উপজেলায় প্রায লক্ষাধিক গবাদি পশু রয়েছে। ১৪৪৩ টি খামারের মধ্যে গরু মোটাতাজা করণ খামার রয়েছে ৮৩৩ টি আর দুগ্ধ উৎপাদনারী খামার রয়েছে ৬১০টি। এ বিষয়ে প্রাণি সম্পদ অফিসের ডেইরী ও পোল্ট্রি ফার্মের ডাঃ পলাশ কান্তি দত্ত জানান, লাম্পি স্কীন ডিজিজের জন্য সরকারী ভাবে কোন ওষুধ বরাদ্দ না থাকায়, আমি ব্যক্তিগত উদ্যেগে এড়ধঃ ঢ়ড়ী ারপপরহ ক্রয় করে চিকিৎসা ব্যবস্থা করেছি। তিনি আরো জানান, প্রাণি সম্পদ বিভাগ থেকে বছরে একবার করে বরাদ্দ পাওয়া যায়। প্রতিটি গরু ১ সিসি করে ারপপরহ দিতে হয়।
বুধবার পৌর সভার নাওগোলা গ্রামের বাসিন্দা প্রান্তিক চাষী উজ্জ্বল মিয়ার একটি মাত্র ষাড় গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এতে সে চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশিক্ষন প্রাপ্ত চিকিৎসক জানান এ রোগে এ উপজেলায় গরু মৃত্যু কম করে হলেও হাজারের কাছাকাছি হবে।
দীর্ঘদিন লাম্পি স্কীন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত হয়ে গবাদি পশুর মৃত্যুর হার বেড়েই চরেছে। আতঙ্ক বিরাজ করছে খামারী ও গবাদি পশুর মালিকদের মাঝে। যত দ্রুত সম্ভব সরকার প্রয়োজন প্রতিকার মূলক ওষুধ সরবরাহ করে গবাদি সম্পদকে রক্ষা করার জোর দাবী জানিয়েছেন খামারী এবং গবাদি পশুর মারিকরা।