পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ওই ইউনিয়ন আ.লীগের ‘খ’ অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ(৪৫)কে শুক্রবার (৪আগষ্ট) সকাল ৯টার দিকে হাতুরি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে দুষ্কৃতিকারিরা। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে থানা পুলিশ ১৩জনকে আটক করেছে।এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যে কোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়,ঘটনার দিন সকাল ৯টার দিকে নাগডেমরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ভ্যানযোগে উপজেলার সোনাতলা বাজারে যাচ্ছিলেন এ সময় ইছামতি নদীর বটতলা আবুল বাজারে পৌঁছা মাত্রই দুষ্কৃতিকারিরা হারুণ অর রশিদকে ভ্যান থেকে নামিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে।স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে সাঁথিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্র্তি করেন। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পুঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার সৃাষ্ট হলে থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোনাতলা গ্রামের আবুল ফকিরের ছেলে বাবুল ফকিরের বাড়ি থেকে কয়েকটি হাসুয়া ও বেশ কিছু বাঁশের লাঠি উদ্বার করে। এখবর লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আহত আ.লীগ নেতা হারুন অর রশিদ ঢাকাতে চিকিৎসা নেয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের ছোট ভাই জুয়েল রানা জানান, পুর্ব শত্রুতার জেরে নাগডেমরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের লোকজন বাজারে যাওয়ার সময় আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে এবং দু পা ভেঙ্গে দিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে নাগডেমরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রাহমান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, মারপিটের ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। মারপিটের বিষয়টি আমি জানতামনা পরে শুনেছি।সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ আগামী নির্বাচনে আমাকে প্রতিহত করতে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ষড়যন্ত করছে এবং তার লোকজন দ্বারা আমার সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করছে।
স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নাগডেমরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রাহমান ও সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মারপিটের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযান চালিয়ে হাসুয়া, বাঁশের লাঠি উদ্বারসহ ১৩জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেড়া সার্কেল) কল্লোল কুমার দত্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।