রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার গুর্জিপাড়া দাখিল মাদ্রাসার আইসিটি শিক্ষক সেলিম মিয়ার নারী কেলেংকরারীর ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির এক সভায় ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উল্লেখ্য,গত ২৯ জুলাই বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে অভিযুক্ত শিক্ষক সেলিম মিয়া বউলবাড়ি গ্রামের এক কল গার্ল(শেফালী ছদ্মনাম)কে কাঞ্চনপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে ডেকে নেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজনের উভয়কে আপত্তিকর অবস্থ্য়া হাতেনাতে হাতে আটক করে। পরে আটককৃতদের মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ছাড়া পায়। এ ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশ দিয়ে সেলিম মিয়াকে আটক করে ইউপি কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানেও সে অর্ধ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ছাড়া পায়। এরপর গত ১ আগস্ট ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ধীরেন্দ্রনাথ চন্দ্র মহন্তের বাড়িতে প্রতিষ্ঠানের মৌলভী শিক্ষক আবুল কালামের নেতৃত্বে মীমাংসা বৈঠক বসে। এ সময় কথিত ভিকটিম,ভিকটিমের মা,অভিযুক্ত সেলিম ও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিল। এতে আড়াই লাখ টাকায় দফারফা হয়। এ সময় ধীরেন্দ্রনাথ স্বহস্তে নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে উভয় পক্ষ ও উপস্থিত লোকজনের স্বাক্ষর নেন। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহবুবার রহমান বলেন-উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও নারী কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছে। কমিটির লোকজন লিখিত অভিযোগ দেয়ায় কমিটির মিটিংএ সিদ্ধান্ত নিয়ে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত শিক্ষক সেলিম মিয়া ,সহযোগী শিক্ষক ধীরেন্দ্রনাথ চন্দ্র মহন্ত ও আবুল কালাম এই তিন জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে রিপোর্ট দেবেন। মাদ্রাসার সুপার মাওঃ আবদুল মোত্তালেব বলেন-তদন্ত প্রতিবেদন পাবার পর মাদ্রাসা বোর্ডের বিধি মোতাবেক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থ্ াগ্রহন করা হবে।