লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় রাতের আঁধারে আবদুল মান্নান নামে এক কৃষকের ২০ শতাংশ জমির হাজার হাজার ফুল ও ফলে ধরা পটল ক্ষেতের সকল গাছে কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বালাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কৃষক আবদুল মান্নান ওই গ্রামের কাসেম আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বাড়ির পাশের উঁচু ২০ শতাংশ জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করে সংসার চলে কৃষক আবদুল মান্নানের। চলতি মৌসুমে ওই জমিতে এবার পটল চাষাবাদ করেন। পটল গাছে পুরো মাচাংয়ে ছড়িয়ে পড়েছে ফুল, পটলও ধরেছে অনেক। কয়েকদিন থেকে বাজারে বিক্রিও শুরু করেছেন ক্ষেতের পটল। ফলপুর্ন পটল ক্ষেতে সারাদিন পরিচর্যা করেন কৃষক আবদুল মান্নান।
রোববার (৬আগস্ট) সকালে ক্ষেতে গিয়ে কৃষক আবদুল মান্নান দেখতে পান তার পটল ক্ষেতের সকল গাছ মরে যাচ্ছে। পরে দেখতে পারে যে পটল গাছের মাচাংয়ের নিচে প্রতিটি পটল গাছের গোড়ায় কে বা কাহারা কেটে দিয়েছে। দুর্বৃত্তরা ২০ শতাংশ জমির প্রায় ৭/৮ শত পটল গাছের সবগুলো কেটে দেয়ায় গাছ গুলো মরে যাচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবি, পটল ক্ষেতে ৭/৮ শত গাছ কেটে দিতে নুন্যতম এক ঘন্টার অধিক সময় লেগেছে। কে বা কাহারা শত্রুতা বশত এই অপকর্ম করতে পারে। সীমান্তবর্তি এলাকা হওয়ায় কেউ কেউ দাবি করছেন মাদকসেবীরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে। কৃষক মান্নানের এলাকায় কারো সাথে তেমন কোন শত্রু নেই।
কৃষক আবদুল মান্নান জানান, সন্তানের মতই পটল ক্ষেতে যতœ করতাম। ফলনও হয়েছিল বাম্পার। পটল তুলে বাজারে বিক্রিও শুরু করেছি। এমন ফল ধরা ক্ষেতে কে যে আমার এত বড় ক্ষতি করল। পটল গাছ নয়, যেন আমার গলায় ছুরি চালিয়েছে। ন্যায় বিচার দাবি করেন তিনি। কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, এখন পর্যন্ত এরকম কোন অভিযোগ পাইনি। আপনার মুখেই জানতে পারলাম। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) জহির ইমাম বলেন, বিষয়টি জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।