দেশের বৃহত্তম চাউল উৎপাদনকারী মোকাম ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আশুগঞ্জে টানা ৪/৫দিনের বৃষ্টির কারণে ৩শতাধিক চাতালকলে চাউল উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার চাতাল শ্রমিক কোন কাজ করতে না পারায় মুজুরী না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অব্যাহত ৪/৫দিনের বৃষ্টির কারণে ৫শতাধিক চাতালকল বন্ধ হয়ে গেছে। ৪/৫দিনের ভারী বৃষ্টিতে কোটি কোটি টাকার ধান ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। কোন চাতালে ধান ভিজে চাউল বের হয়ে ধানে উৎকট পচা গন্ধ বের হচ্ছে। চাতালকলের শ্রমিকরা প্রোডাকশনে কাজ করার কারণে বৃষ্টির কারণে ধান শুকাতে না পারার কারণে ৩শতাধিক চাতালকল বন্ধ হয়ে রয়েছে। কাজ নাই তাই শ্রমিকরা কোন মুজুরী পাচ্ছেন না। চাতাল মালিকদের কাছ থেকে ধারদেনা করে কোনরকমে সংসার চালাচ্ছেন। ফলে তারা যে ঋণ নিচ্ছেন এই টাকা দিনে দিনে বেড়ে পাহাড় সমান হয়ে দাড়াচ্ছে। এই টাকা শোধ করতে পারছেন না শ্রমিকরা। ফলে বছরের পর বছর তারা কাজ করেও ঋণ শোধ করতে না পারায় ঋনে জর্জরিত হয়ে পড়ছেন।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে আশুগঞ্জ উপজেলার বগইর ইয়াছিন চাতাল মিলে সরজমিনে গেলে মালিক সালা উদ্দিন টুকু বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্ঠিতে আমাদের দুটি চাতালে প্রায় তিনহাজার মণ ধান বৃষ্টিতে ভিজে একেবারে ধানের গ্যারা উঠে গেছে। এই ধান থেকে চাউল উৎপাদন করা সম্ভব না। ফলে আমাদের অন্তত ৫০লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে আশুগঞ্জ উপজেলার সবকটি চাতাল কলে।