নগরীতে একসময় খালের সংখ্যা ছিলো ৪৬টি। স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে ২২টি খাল সড়ক ও স্থাপনায় বিলীন হয়ে গেছে। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে বাকি ২৪টি খাল হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম নগরীর সাগরদী খাল। মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, খালের এক পাশের অংশ দখল করে নির্মান করা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের অর্ন্তগত রূপাতলী মৌজার সাগরদী ব্রিজ থেকে ধান গবেষনা রোডের উত্তর পাশের খাল সংলগ্ন সিটি করপোরেশনের জমি দীর্ঘ ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অবৈধভাবে ভোগ দখল করে আসছেন ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর ফিরোজ আহম্মেদ। খাল ও খালের পাড়ের অংশের সরকারি জমি দখল করে তিনি নির্মান করেছেন একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যা থেকে প্রতিমাসে ভাড়া হিসেবে উত্তোলন করা হয় কয়েক লাখ টাকা।
সূত্রমতে, শুধু তাই নয় ওই দোকান ঘর ভাড়া দেয়ার জন্য অগ্রীম বাবদ নেয়া হয়েছে কয়েক লাখ টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দারা জানিয়েছেন, খালের অবৈধ দখলের কারণে এলাকায় অল্পবৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ইতোপূর্বে ওই স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য বরিশাল সিটি করপোরেশন থেকে বেশ কয়েক বার মাইকিং করা হলেও রহস্যজনক কারণে তা আর উচ্ছেদ হয়নি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, ওইখানে শুধু আমার দোকানঘর নয়; আরো কয়েকজনের দোকানঘর রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ১৯৭৩ সাল থেকে আমরা ওই জমি ভোগ দখল করে আসছি। তখন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই জমি আমরা দাখিলা কেটে বন্দোবস্ত নিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কোন কথা বলতে রাজি হননি।