ঝিনাইগাতী ১ সপ্তাহের ব্যবধানে পেয়াজের দাম বেড়েছে ৪০টাকা। তাছাড়া কাঁচা সবজির দামও বেড়েছে। পাল্লাদিয়ে বেড়েছে মাছ,মাংস,চাল-ডাল,আটাসহ নিত্যপণ্যর দাম। ঝিনাইগাতী বাজার ঘুরে দেখা যায় লাল আলু ৫০টাকা, হলেন্ড আলু ৪০টাকা, পোটল ৬০টাকা বেগুন ৪০টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০-৩০০ টাকার মধ্যে। অথচ গত সপ্তাহে আলু ৩৫টাকা, পোটল ৩৫ টাকা বেগুন ৩০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।এছাড়াও মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫টাকা, সরু চাল ৬৫-৭০ টাকা একাই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে মাছ,মাংসর দাম। কাঁচা তরকারী ব্যবসায়ীরা বলেন,চাহিদার তুলনায় আমদানি কম ও পাইকারী দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মাছ চাষিরা বলছেন মাছের খাদ্যও দামও বেড়ে যাওয়ায় তাড়া বেশি দামে মাছ বিক্রি করেও লোকশান গুনতে হচ্ছে। পরিবারে খরচ যোগাতে নাভিশ্বাস উঠেছে নিন্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর। ঝিনাইগাতী উপজেলার শালচুড়া গ্রামের কৃষক সরোয়ার্দী দুদু মন্ডল বলেন ২০০০টাকা নিয়ে এসেও চাহিদা মতো খরচ হয় না।বাজার করতে আসা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মনজুল আলম মনজু বলেন বাজারের লিস্ট কাটছাট করে বাজার করতে হচ্ছে। কয়েকজন কৃষক বাজার করতে এসে বলেন পণ্যের ঊর্ধগতির জন্য দু-মাসও থাকবেনা বোরো ধান। এরইমধ্যে আবার আমন ধান রোপন বাকি দিন কিভাবে চলবে! এদিকে নিন্ম ও মধ্যবিত্ত কৃষকদের পাশপাশি বাজার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে সরকারী কর্মকতা-কর্মচারীরাও। সরকারী কর্মকতা -কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,গত ২০১৫ সালের জুলাই মাসে (পে-স্কেল) বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করলেও এর মধ্যে বাজার মূল্য কয়েক দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু বেতন-ভাতা বৃদ্ধি পায়নি। তারা বলেন বর্তমান বাজার মূল্যে তাদেও বেতনে সংসার ও ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া খরচ যোগান দেওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। ঊর্ধগতির জন্য বিপাকে নাভিশ্বাস নিন্ম আয়ের মানুষ।