উপজেলা সদর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরাত্তে অজো পাড়া গায়ের চন্দনা রানী বয়স ৩২ বছর। অভার-অনটন অর স্বামী শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং নিজে শারীরিক অসুস্থতার কাছে হার না মেনে মাছ বিক্রর পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। বরিশাল জেলার আগৈরঝাড়া উপজেলার রতœপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামে শারীরিক প্রতিবন্ধী বিজয় হালদারের স্ত্রী চন্দনা রানী। স্বামী ৫ বছরের অধীক শারীরিক প্রতিবন্ধী। সে কোন কাজ করতে পারে না। ৬ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে তাদের।
একখানা ছোট্ট টিনের ঘরে তারে বসবান। অভার-অনটনের তিনি বর্তমানে ৮ মাসের অন্ত:সত্ত্বা শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে সে ভারী কোন কাজ করতে পারে না। তাই তিনি মাছ বিক্রীকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, আগৈরঝাড়া উপজেলার রতœপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামে শারীরিক প্রতিবন্ধী বিজয় হালদারের স্ত্রী চন্দনা রানী। শারীরিক প্রতিবন্ধী স্বামী ও সন্তানের ভাবার জোটাতে চন্দনা রানী অসুস্থ শারীরনিয়ে প্রতিদিন ভোর ৫ টায় ঘুম থেকে উঠে পায়েহেটে ৪ কিলোমিটার পথ পাড়িদিয়ে উপজেলার গৈলা বাজার থেকে কোন দিন ১০ কেজি আবার কোনদিন ১৫ মাছকিনে মাথায় করে নিয়ে আসে। এর পরে গ্রামে ঘুরে ঘুরে ওই মাছ বিক্রী করে থাকে। ওই মাছে বিক্রীর যে টাকা আয় হয় সেই টাকা দিয়ে চলে তাদের তিন জনের সংসার। স্বামী ৫ বছরের অধীক শারীরিক প্রতিবন্ধী। সে কোন কাজ করতে পারে না। সরকারে দেয়া প্রতিবন্ধী ভাতাও পায়না। তার স্ত্রী চন্দনা রানী। তিনি ৮মাসের অন্ত:সত্ত্বা। তাদের সংসারে ৬ বছরের একটি কন্যাসন্তান টা অন্ত:সত্ত্বা চন্দনা রানী তার ভালো খাবার দরকার থাকেলে সেই সম্ভর তার নেই। কোথা থেকে খাবে খাবার। আবার স্বামীর জন্য কিনতে হয় ঔষধ।
এব্যাপারে অন্ত:সত্ত্বা চন্দনা রানীর কালের কন্ঠকে বলেন, আমার বিয়ের পরে আমার গর্ভে জখন সন্তান আসে তখন আমার স্বামী অসুস্থ হয়। একপর্যায়ে স্বামী শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে যায়। এখন আমি ৮ মাসের অন্ত:সত্ত্বা ভারী কোন কাজ করতে পারি না। প্রতিদিন সকালে ১০ থেকে ১৫ কেজি মাছ কিনে আনি সেই মাছ এলাকার মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রী করি। ওই মাছে যে টাকা লাভ হয় সেই টাকা দিয়ে আমাদের সংসার চলে। আমার স্বামী শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও সে কোন ভাতা পায়না। আমি মাত্রীকালিন কোন ভাতা পাইনা।
এব্যপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা সমজসেবা অফিসার সুশান্ত বালা কালের কন্ঠকে বলেন, চন্দনা রানীকে এবং তার স্বামীর বিষয়টা ভেবে দেখবেকা তাদেরকে ভাতার অওতায় আনা যায়কিনা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেনের বলেন, তাদের পরিবারে বিষয়ে আমাদের জানাছিলোনা। তার স্বামী ও তার পরিবারকে কি সহযেগিতা করা যায় তার বিষয়ে দেখবো।