দেশের ছিন্নমূল অসহায় ও দরিদ্র জন গোষ্ঠীর পূর্ণবাসনের লক্ষে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় চতুর্থ পর্যায়ে দ্বিতীয় ধাপে ভূমি ও গৃহহীন ১৫ টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। ১৫টি ঘরের মধ্যে কলমা ইউনিয়নে ১১টি ও মেদিনীম-ল ইউনিয়নের কান্দিপাড়া গ্রামে ৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলায় ২৮২ টি ঘর বরাদ্দ থাকলেও অবশিস্ট ছিল ৭০ টি ঘর। তারই ধারাবাহিকতায় কলমা ইউনিয়নে ১১ টি ও মেদিনীম-ল ইউনিয়নে ৪ টি ঘর বিতরন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে লৌহজং উপজেলা প্রশাসন বুধবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে এসব জমিসহ ঘর বিতরণ করেন। দরিদ্রদের মাঝে ঘর ও জমি হস্তান্তর উপলক্ষে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. ইলিয়াস শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্যানেল চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তপন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিনা ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম, মেদিনীম-ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন, কলমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব শেখ।
মেদিনীম-ল ইউনিয়ন আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতায় আপ্লুত ৭০ বছর বয়সী মো. হারুন শেখ। তিনি এতদিন অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তার একমাত্র ছেলে দিনমজুর। স্ত্রী কুলসুম চার বছর আগে হার্ট স্ট্রোক করে এখন অসুস্থ। হারুন শেখ বলেন, এখন নিজের ঘর বাড়িতে স্বাধীনভাবে থাকতে পারুম। ছেলে, ছেলের বউ ও নাতিকে নিয়ে সুখেই জীবনটা কাটাইতে পারুম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাগো যে উপহার দিল আমরা সারা জীবন তার উপর ঋনি হইয়া গেলাম।
কলমা ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ও জমি পেয়ে মহাখুশি রাসেল শেখ। তিনি বলেন, আমার চারটি মেয়ে। চিন্তায় ঘুম আসতো না। আমি মরে গেলে একখ- জমিও ওদের জন্য রেখে যেতে পারতাম না। এখন এ জমি ও ঘর পেয়ে চিন্তা অনেকটা কমে গেছে। রাসেল শেখ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে জমি ও ঘর উপহার দিয়ে যে উপকার করলো আমরা সকলেই তার প্রতি কৃতজ্ঞ। তার এই উপকারের কথা আমরা যত দিন বেঁচে থাকবো ততদিন আমরাতো মনে রাখবোই আমদের পরবর্তী প্রজন্মও মনে রাখবে।