বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে আওয়ামী লীগের সম্ভব্য প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপির মোটরসাইকেল ও সি এন জি শোডাউন নিয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। ৩০ জুলাই রোববার সকালে ওই শোডাউন অনুষ্ঠিত হয়। এই শাহাজাদী আলম লিপি এডিশনাল ডি আই জি হামিদুল আলম মিলনের সহধর্মিনী। লিপির ওই দিনের শোডাউন নিয়ে নির্বাচনী এলাকা বগুড়া ১, (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) এলাকায় চলছে গুঞ্জন। ১০ দিন পরেও থামছে না সেই গুন্জন, আলোচনা সমালোচনা। নির্বাচনী এলাকার হাটে-বাজারে, গ্রামে-গঞ্জে, রাস্তা-ঘাট ও টি স্টলে গুঞ্জন আলোচনায় সরব হয়ে উঠেছে। এছাড়াও অফিস পাড়াতেও চলছে গুন্জন সমালোচনা। সমালোচকরা বলছেন, শাহাজাদী আলম লিপি শেখ হাসিনা সরকারের সারাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিতে করা হয়েছে শো-ডাউন বা উন্নয়ন রেলী। কিম্তু বাস্তবতা ছিল অন্যরকম। ওই শোডাউনে সারা দেশের কোন উন্নয়ন কোথাও-কোনো প্রতিফলন দৃশ্যমান হয়নি। কারণ আগত ১ হাজার ৮ শ মোটরসাইকেল, ৪শ ৮০ থ্রি হুইলার সিএনজি ১৮ হাইচ, তিনটি পিকআপ গাড়ী ও কমপক্ষে ৮ হাজার লোক সমাগম করা হয় ওই শোডাউনে। সবাইকে দেওয়া হয় ২ রংয়ের হাফ হাতা গেন্জি। গেন্জির এক কোনায় ছোট্ট করে ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি। আরেক কোনায় ছিলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডান হাত উঁচু করা একটি ছবি। আর গেন্জি জুড়ে ছিলো শাহাজাদী আলম লিপির শাড়ী ও মাথায় হিজাব পরা বড়সড় করে হাস্যজল ছবি। গেঞ্জির কোথাও ছিল না উন্নয়নের চিত্র। এমনকি শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া কারো হাতেই ছিল না উন্নয়ন সম্বলিত কোন ব্যানার বা ফেস্টুন। উন্নয়ন সম্বলিত লিফলেট বিতরণও করা হয়নি, জনতার মধ্য বা অংশ গ্রহণকারীদেরকেও দেওয়া হয়নি কোন লিফলেট। সমালোচকরা বলছেন, কিভাবে ভাই এটা হয় উন্নয়ন রেলী বা গোডাউন হয়। সারিয়াকান্দি ও সোনাতলার অফিস পাড়াতে আলোচনা ও গুন্জন চলছে যে, হামিদুল আলম মিলন একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে কিভাবে ওই শোডাউন বা উন্নয়ন রেলীতে অংশ নিল? আসলে শাহাজাদী বলম লিপির স্বামী উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা, তাই সরকারের একটা অনুকম্পা পেতে এটি একটি কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছেন বলে সমালোচকদের মধ্য গুঞ্জন। এছাড়াও শাহাজাদী আলম লিপি একদিনও দলীয় অফিসে না বসেই কি ভাবে তিনি আওয়ামী লীগের এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী হোন। এই নিয়েও আলোচনায় ছাড় দিচ্ছেন না সমালোচকরা দিচ্ছেন না গুঞ্জনে। শোডাউন বা রেলীকে কাজে লাগিয়ে অবশেষে তিনি হয়তবা স্বতন্ত প্রার্থী হিসেবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারেন, এই কথা নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় চলছে অনেক গুন্জন-আলোচনা। লাখ লাখ টাকা ব্যায়ের ওই বিশাল শোডাউনে বা রেলীকে আগামী সংসদ নির্বাচনে কর্মকর্তার স্ত্রী শাহাজাদী আলম লিপি অবশ্যই প্রার্থী হচ্ছেন, একথা মনে হয় জানান দিলেন তিনি সবাইকে।