ঝালকাঠি শহরে সালিশ বৈঠককে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে পৌর যুবলীগের সভাপতি আবদুল হক খলিফা বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মারধর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগে মামলায় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূট্টো ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে গত ৬ আগস্ট হামলা সংঘর্ষের ঘটনায় যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় প্রতিপক্ষের ৬ জনের নামে তাঁর ছোট ভাই রফিকুল ইসলামকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা করেন। মামলায় আরো ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঝালকাঠি শহরের স্টেশন রোডের সুলতান হাওলাদার ও মো. শাহজাহানের মধ্যে পূর্ব বিরোধ নিয়ে গত ৩ আগস্ট রাতে একটি সালিস বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে আসামিরা মামলার বাদী আবদুল হক খলিফাকে নানা ধরণের হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল। বৈঠক শেষে তিনি স্টেশন রোডে আমিন অয়েল স্টোর নামের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যান। খবর পেয়ে ওই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে হামলা ভাঙচুর ও মারধর করে আসামিরা। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার আসামিরা হলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগ কর্মী লিসান, বাবু, মন্টু হাওলাদার, মিন্টু হাওলাদার, মো. সোহেল, মুসা, অপু, সানি, শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূট্টো ও হৃদয়।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী আবদুল হক খলিফা বলেন, আসামিরা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। আল্লাহর রহমতে আমি বেঁচে গেছি। তাঁরা আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে টাকা-পয়সা নিয়ে যায়। আমার ছেলেসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।
এদিকে অপর মামলার বাদী যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, আবদুল হক খলিফার তিন ছেলেসহ আমার ছোট ভাই রফিকুল ইসলামকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে মামলা করলে আসামিদের পক্ষে হক খলিফা একটি মিথ্যা নাটক সাজিয়ে মামলা করেছে।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, হামলা সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়েছে। আসামিরা এলাকায় নেই। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।