আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় ১ম শ্রেণিতে পড়-য়া শিশুকে (৭) প্রকাশ্য দিবালোকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষিতাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ধর্ষক নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত মনিরুদ্দিন সরদারের ছেলে মুনছুর আলীকে আটক করেছে। এলাকার শতশত মানুষ ধর্ষক ও একাধিক অপকর্মের হোতা মুনছুরের শাস্তির দাবীতে প্রতিবাদ মুখর হয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও ঘটনাস্থানে জড়ো হয়।
বুধহাটা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণি (বড় ওয়ান) এর ছাত্রী ভিকটিম এর মা পপি খাতুন জানান, তার শিশু কন্যা বিকাল ৫ টার দিকে পুকুরে মাছ ধরছিল। তাকে একা পেয়ে লম্পট মুনছুর ‘তোর মা আমার কাছে ৫ টাকা পাবে নিয়ে যা’ ছলনা করে তাকে ডেকে বাড়ির মধ্যে নিয়ে ঘরের ক্লপসিবল গেট আটকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মেয়ে চিৎকার করে উঠলে তোকে অনেক টাকা দেব কাউকে কিছু বলিস নে বলে ছেড়ে দেয়। ভিকটিম কাঁদতে কাঁদতে ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরলে আমি জিজ্ঞেস করি কি হয়েছে। তখন সে ঘটনার কথা জানায়।
ভিকটিমের পিতা ও দাদী ঘটনার কথা স্বীকার করে শত শত মানুষের সামনে ঘটনার বর্ননা দেন। অসুস্থ ভিকটিমকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে তারা জানান। তারা জানান, মুনছুর এর আগেও নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা প্রশাসন ও আদালতের কাছে তার ব্যাপারে কঠোর প্রতিকার কামনা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামসহ বহু ব্যক্তি ঘটনার কথা স্বীকার করেন। তারা সবাই এলাকায় ইতঃপূর্বে একাধিক বার নারী কেলেঙ্কারীসহ নানা অপকর্মের হোতা মুনছুরের আইনগত বিচার দাবী করেন।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মমিনুল ইসলাম পিপিএম জানান, ঘটনা জানার সাথে সাথে বুধহাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই সিয়াবুল ইসলামকে ঘটনাস্থানে পাঠাই। তিনি প্রাথমিক তদন্ত শেষে অভিযুক্ত মুনছুরকে গ্রেপ্তার করেছেন। এ ব্যাপারে ভিকটিমের পিতা আবদুল আলীম বাদী হয়ে ৯(১) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩; জোর পূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধ আইনে ১৫ তাং ১১/০৮/২৩ নং মামলা রুজু করা হয়েছে। শনিবার সকালে আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।