বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে খাউলিয়া ইউনিয়নে ২শ’ বিঘার আমন ফসলী জমিতে জোরপূর্বক মৎস্য ঘের করার প্রতিবাদে এলাকার ভূক্তভোগী কৃষক-কৃষানীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। শনিবার বেলা ১১ টায় পূর্ব চিপা বারইখালী গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক নারী পুরুষ কৃষক-কৃষাণীরা এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশ নেয়।
এ মানববন্ধন থেকে ভূক্তভোগী কৃষক দেলোয়ার ফকির, ফিরোজ ফকির, ফকরুল ফকির, আবদুর রব মাতুব্বর, আবু হানিফ খান, শাহ আলম মাতুব্বর, আহম্মদ মাতুব্বর, জলিল হাওলার, দুলাল ফরাজী, মাষ্টার সামছুল হক সহ অনেকে বলেন, র্দীঘ ৪০-৫০ বছর ধরে পৈত্রিক সূত্রে পূর্ব চিপা বারইখালী গ্রামের ২শ’ বিঘা আমন ফসলী মাঠে এলাকার সাধারণ কৃষকরা এক ফসলী আমন ধানের চাষাবাদ করে আসছেন।
গত এক মাস পূর্বে এলাকার প্রভাবশালী আবদুস ছালাম ফকির ও তার ছেলে সোলায়মান ফকির, জাকারিয়া ফকির, সাব্বির ফকির জোরপূর্বক মৎস্য ঘেরের নামে ফসলী মাঠ আটকিয়ে রেখে মৎস্য ঘের করে জমির মালিকদেরকে মাঠে নামতে নিশেষ করছে। এমনকি আমন বীজতলায় সার কীটনাশক ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। যে কারণে আমন ফসলের অপূরনীয় ক্ষতির সম্মূর্খীন হবে সাধারণ কৃষকরা।
ইতোমধ্যে জোরপূর্বক ওই জমিতে মাছ চাষের অযুহাতে জমির মালিকদেরকে তাদের জমিতে হালচাষ ও বীজ রোপনে বাঁধা দিয়েছেন।এ ঘটনায় ভূক্তভোগী জমির মালিক দেলোয়ার ফকিরসহ একাধিক কৃষকরা গনস্বাক্ষরে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা অফিসার ইনচার্জ, মৎস্য্য দপ্তওে পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করে কোন ফয়সালা না পেয়ে আজ মানববন্ধন করেন।
এ বিষয়ে সোলায়মান ফকির বলেন, ওই ফসলী জমিতে তাদের পৈত্রিক কাঁচা ৫০ বিঘা জমি রয়েছে। মৎস্য ঘের করার পূর্বে স্থানীয়দেও মতামতের ভিত্তিতে ঘেরটি করা হয়েছে। কারো কারো সাথে বিরোধ থাকায় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এ সর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম তারেক সুলতান বলেন, ঘের সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয়ভাবে বিষয়টির কোন সুরহা করতে না পেরে অভিযোগকারিদের আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার জন্য বলা হয়েছে।