দিঘলিয়া উপজেলার বিকাশ কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর হাউজ আকিব ট্রেড খালিশপুরের অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত বিকাশের ডিএসও সজীব কুমার দাস গত ৯ ও ১০ আগস্ট কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দিঘলিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত বিকাশ এজেন্টগণ ও বিকাশের পক্ষ থেকে লাপাত্তা সজিব কুৃমার দাসের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে যাওয়ার অভিযোগ এনে দিঘলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে এমনটায় জানিয়েছেন সেনহাটির কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত বিকাশ এজেন্ট।
ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে জানা যায়, দিঘলিয়ার সেনহাটীর সজীব কুমার দাস উপজেলার ৫০ থেকে ৬০ জন বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে। পাশাপাশি বিকাশ কোম্পানীর নগদ টাকাও নিয়েছে বলে সূত্র থেকে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী সূত্রে আরও জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও সেনহাটি ইউনিয়নের বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীদের ডিএসও হিসাবে প্রায় তিন বছর চাকুরিরত আছেন এ সজিব কুমার দাস। চাকুরিতে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় উল্লিখিত বিকাশ এজেন্টগণ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের কথা বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর হাউজ ট্রেড খালিশপুরের এমডি মোঃ মিঠু, ম্যানেজার তানভীর হাসান, সুপারভাইজার অপুকে একাধিকবার জানানো হয়। তারা তাৎক্ষণিক সমাধান করলেও তাকে চাকুরিতে বহাল রাখে বিকাশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
বিকাশের ডিএসও নিয়োগের ক্ষেত্রে যে নিয়ম-নীতি অনুসরণ করা দরকার তা যথার্থভাবে করা হয়নি বলে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেন। সজীব দাস সেনহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছনে এসকে আহমেদের বাড়ির ভাড়াটিয়া। তিনি মৃত সুকুমার দাস ও সুমিতা দাসের পুত্র। একজন অস্থায়ী লোককে কিভাবে ডিএসও নিয়োগ দেওয়া এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এদিকে আত্মগোপনে যাওয়া সজিবের পরিচয় ও অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের নীতিমালার বৈধতা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এদিকে বিভিন্ন সূত্র ধরে আত্মগোপনে যাওয়া সজিব দাসের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে জানা যায়, সজিব দাসের এর পূর্বেও ভারতে যাতায়াত ছিল। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে তার এক নিকটাত্নীয়ের বসবাস। তিনি হয়তো সমুূদয় অর্থ হাতিয়ে নিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে আত্মগোপন করেছে।
এলাকার বিকাশ এজেন্ট সূত্রে জানা যায় লাপাত্তা সজিব দাস একজন খারাপ চরিত্রের লোক। তার দিঘলিয়ায় বিকাশের টাকা হ্যাক করার একটা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিল। এ অঞ্চলের অনেক এজেন্ট ও গ্রাহকদের টাকা বিভিন্ন কৌশলে হ্যাক করে নিয়ে তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতির সন্মুখিন করে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকেছে।
এলাকার বিজ্ঞমহল এ সজিবকে খুঁজে এনে আইনের হাতে সোপর্দ করার সকল আইনি প্রক্রিয়া গ্রহনের জন্য আইন প্রয়োগকারী সকল মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রিপন কুমার সরকারের সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা আমার নিকট এসেছিলো, আমি তাদের সকল প্রকার আইনি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেছি। তিনি বলেন ক্ষতিগ্রস্তরা আমার নিকট লিখিত অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমি বিষয়টি জানার সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণের অফিসিয়ালি কাজ শুরু করে দিয়েছি। বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর যেহেতু খালিশপুরে এবং সজিব দাসের নিয়োগদাতা খালিশপুরের আকিব ট্রেড। সেহেতু খালিশপুর থানাসহ সবাই বিষয়টা নিয়ে কাজ করছে। দেশের বাইরে চলে গেলে তাকে ধরা কঠিন হয়ে পড়বে।