দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে ছিনতাইকারী চক্র। কক্সবাজার শহরজুড়ে ছিনতাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। শহরের প্রবেশদ্বার লিংকরোড়-বাস টার্মিনাল, বাইপাসসহ বিভিন্ন এলাকায় পেশাদার ছিনতাইকারীদের আনাগোনা। প্রতিদিনই তাদের হাতে সর্বস্ব হারাচ্ছেন পর্যটক ও স্থানীয়রা। চাওয়া মাত্র মালামাল না দিলে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে প্রায়ই হতাহত হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান সড়ক ও এর আশাপাশ ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ সড়কবাতিই নষ্ট। সন্ধ্যা হলেই শহরজুড়ে ঘুটঘুটে অন্ধকার নেমে আসে। রাত ১২টার পর দোকানপাট বন্ধ হলে আরও অন্ধকার হয়ে যায় চারপাশ। তখন ছিতাইকারীরে দখলে চলে যায় শহর। চক্রের সদস্যরা দল-উপদলে ভাগ হয়ে করছে ছিনতাই। ভোর থেকে শুরু করে ভর দুপুর কিংবা সন্ধ্যার পর একাকী রাস্তায় বের হওয়া দুরূহ। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত হলেও পুলিশের পর্যাপ্ত টহল কিংবা বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকায় বেপরোয়া দুর্বৃত্তচক্র। এখানকার অপরাধের ধরণ ও অপরাধীদের বিচরণও অন্য রকম। এখানকার অধিকাংশ ছিনতাইকারী আইনের চোখে অপ্রাপ্ত বয়স্ক। আদালতে পাঠানো হলে। তারা জামিনে বেরিয়ে আসে। ফের ছিনতাই শুরু করে। তবে প্রসিদ্ধ পর্যটন নগরী হিসেবে ভোর হতে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বিঘ্ন চলাফেরার সুযোগ থাকা দরকার। তাই পর্যটনের স্বার্থে যেকোন মূল্যে ছিনতাইকারীদের দমন করা উচিত। শহরকে অপরাধমুক্ত করতে হলে পুলিশের পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, ব্যবসায়ীসহ অভিভাবকদের সচেতন হওয়া জরুরি। এবং ধারালো অস্ত্র বিকিকিনি বন্ধ করতে হবে। প্রত্যেক অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের প্রতিও নজর রাখতে হবে। তবে বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে, কেন হঠাৎ করে ছিনতাইচক্র এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খতিয়ে দেখতে হবে এবং তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হবে। কারণ পুলিশ জনগণের বন্ধু। সেহেতু সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় মূল দায়িত্ব তাদের ওপর অর্পিত। সেই বাস্তবতায় পুলিশকে আরো সক্রিয় হতে হবে। নাগরিক নিরাপত্তার বিবেচনা থেকে সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।