এডাব কক্সবাজার জেলার উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় এসোসিয়েসন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিস ইন বাংলাদেশ- এডাব এর অংশ হিসেবে দুইদিনব্যাপী কক্সবাজারে এ মাইকিং করা হয়। এতে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী,কক্সবাজার সদর,রামু উপজেলা এবং কক্সবাজার পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে মানুষের মাঝে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে মাইকিং করা হয়।
জানা গেছে, বর্তমানে সারাদেশের মত কক্সবাজারে ভয়াবহ ডেঙ্গুর প্রার্দূভাব রয়েছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের হাসপাতালগুলোতে অনেক ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে। তাই এই ভয়াবহ ব্যাধি থেকে রক্ষা পেতে আমাদের ঘরবাড়ি, উঠান ও আশেপাশের এলাকা পরিস্কার রাখা ও জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিস্কার করা জরুরী। বিশেষ করে এডিস মশা জমে থাকা পানিতে ডিম পাড়ে, তাই নির্মানাধীন ভবনে বিভিন্ন পাত্রে জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিস্কার করার কথা হয়েছে। পানি জমা রোধ করতে অব্যবহৃত পানির পাত্র উল্টে করে রাখুন। জেনে রাখবেন ডেঙ্গুর লক্ষণ,তীব্র জ¦র ও মাথা ব্যথা,তীব্র পেটে ব্যথা, অবিরাম বমি করা, শরীরে ফুসকুড়ি ওঠা,চোখের পিছনে ব্যথা,মাংসপেশি ও জয়েন্টে ব্যথা, মেরুদন্ড ও কোমরে ব্যথা, ডায়রিয়া, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস, নাক ও মুখ দিয়ে রক্তপাত, ক্লান্তি ও অস্থিরতা,বমি ও মলে রক্ত আসা,কালো পায়খানা, খুব তষ্ণার্ত ও দুর্বল বোধ করা, ত্বক ফ্যাকাশে ও হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া। জ¦র হলে করণীয়-জ¦র হলে, সাধারন বা সিজনাল জ¦র ভেবে সময় নষ্ট না করা, দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গু কিনা নিশ্চিত হউন এবং বর্তমানে উপসর্গ ছাড়াই ডেঙ্গু হচ্ছে তাই রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গু সনাক্ত না হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহন করা। লক্ষ্য রাখতে হবে জ¦রে প্যারাসিটামল ব্যতীত অন্য যেকোন ব্যথানাশক বা এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া যাবে না। জ¦র বেশী হলে এক মুহূর্ত দেরি না করে নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করুন। ডেঙ্গু রোগীকে পরিপূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে এবং বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়াতে হবে। ডেঙ্গু সেরে যওয়ার পরও বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিন। ডেঙ্গু থেকে নিজে বাঁচুন এবং অন্যকে বাঁচাতে ভূমিকা রাখতে হবে।