দূর্নীতি অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় চলছে সড়ক বিভাগ, খুলনার দিঘলিয়া -(রেলিগেট) - আড়ুয়া- গাজীরহাট - তেরখাদা সড়কের নগরঘাটা ফেরীঘাটে। পারাপারকারী যানবাহন হতে রশিদ ছাড়া জোরপূর্বক অতিরিক্ত টোল আদায় কোনভাবে বন্ধ হচ্ছে না। উভায় পাড়ে টোলের তালিকা টানিয়ে রাখার নির্দেশনা থাকলেও দেখা যায়নি। অতিরিক্ত টোল বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা। একাধিকবার অভিযোগ দিয়েও ভুক্তভোগীরা কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের ও ভোক্তা অধিকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। টোল আদায়ের জন্য মেসার্স ফারদিন ষ্টোন বাজার নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা প্রদান করা হয় যার প্রোঃ মোঃ ফিরোজ মোল্লা। ইজারা প্রাপ্তির পর থেকে রশিদ ছাড়া জোর পূর্বক ভাবে অতিরিক্ত টোল আদায় করছে। ফেরীসহ উভায় পাড়ে টোলের তালিকা টানিয়ে রাখার নির্দেশনা থাকলেও দেখা যায়নি।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, সড়ক ও জনপথের অধিদপ্তরাধীন নগরঘাটা ফেরীঘাটের ইজারাদার ফিরোজ মোল্লা ফেরীর পারাপারকৃত যানবাহন থেকে জোর পূর্বক অতিরিক্ত টোল আদায় করছে, টোলের রশিদ চাইলে হুমকি- ধামকি প্রদান করেন। ফেরীসহ উভয় পাড়ে টোলের তালিকা টানিয়ে রাখার নির্দেশনা থাকলেও তা দেখাযায়নি। টোলের তালিকা অনুযায়ী ভাড়া হেভী ট্রাক (বোঝাই/খালি) ১০০ টাকা ,মিডিয়াম ট্রাক ৫০ টাকা, বড় বাস ৪৫ টাকা, মিনি ট্রাক ৩ টন পর্যন্ত লোড ধারন সক্ষম ৪০ টাকা, পাওয়ার ট্রিলার / ট্রাক্টর ৩০ টাকা, মাইক্রোবাস ২০ টাকা, পিকআপ,প্রাইভেট জীপ ২০ টাকা, অটো টেম্পো, সিএনজি অটোরিকশা, অটোভ্যান ব্যাটারী চালিত ৩ চাকার যান ৫ টাকা ইজারা প্রদানকৃত সড়ক বিভাগের তালিকা অনুযায়ী ভাড়া নেওয়ার কথা থাকলেও সে নির্দেশনাকে বৃদ্ধা অঙ্গুলি দেখিয়ে ইজারাদার ফিরোজ মোল্লা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হেভী ট্রাক (বোঝাই/খালি) ৯০০ টাকা, মিডিয়াম ট্রাক ৫০০ টাকা, বড় বাস ১২০০ টাকা, মিনি ট্রাক ৩ টন পর্যন্ত লোড ধারণ সক্ষম ৮০০ টাকা, পাওয়ার ট্রিলার / ট্রাক্টর ৪০০ টাকা, মাইক্রোবাস ৫০০ টাকা, পিকআপ,প্রাইভেট জীপ ৪০০ টাকা, অটো টেম্পো, সিএনজি অটোরিকশা, অটোভ্যান ব্যাটারী চালিত ৩ চাকার যান ৪০ টাকা অতিরিক্ত কয়েক গুণ বেশি টাকা উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু অতিরিক্ত ফেরীর টোল উত্তোলন নয় তার নিয়োজিত লোকজন অবৈধভাবে নগরঘাটের রেলিগেট পাড়ে ফেরী ও নৌকায় পারাপারকৃত মালামালের গাড়ি থেকে জোর করে পুনরায় টোল উত্তোলন করছে ফেরীর ইজারাদার ফিরোজ মোল্লার নির্দেশে। ফেরীতে পারাপারকৃত মালামালের গাড়ি ও যানবাহন থেকে টোল উত্তোলন বন্ধ ও ইজারা বাতিলসহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। একাধিক অভিযোগের পরেও সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর নিরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। দিঘলিয়ার বিজ্ঞমহলের জিজ্ঞাসা দিঘলিয়ার নগরঘাটা ফেরীঘাটের ইজারাদারের খুঁটির জোর কোথায়?
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ বলেন ,অভিযোগ পেয়ে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ফেরিঘাটের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয় উল্লেখ করেছেন। এবং আমি রোববার সরেজমিনে গিয়ে ইজারাদারকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেছি। তিনি আরো জানান খুলনা ৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মূর্শেদীর কঠোর নির্দেশনা রয়েছে অতিরিক্ত টোল সহ সকল অনিয়ম বন্ধের। ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন নগরঘাটা ফেরিঘাটের ইজারাদার মোঃ ফিরোজ মোল্লার দুর্নীতি ,অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা থেকে কবে মুক্তি পাবেন তারা?