ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মইনুল ইসলাম (৪০) নামে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তাকে জনসম্মুখে গলায় জখম করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন এলাকাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় অভিযুক্ত শামীমা আক্তার (৩৫) নামের মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। গুরুতর জখম ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪ টার দিকে প্রশাসন ভবন সংলগ্ন এলাকায় বাকবিতন্ডায় জড়িত থাকতে দেখা যায় অভিযুক্ত শমীমা আক্তার ও আহত মাইনুল ইসলামকে। কিছুক্ষণ পর মাইনুল দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে সবাইকে ঝালচত্ত্বরের সবার সামনে 'বাঁচান বাঁচান' বলে চিৎকার করে। তখন মাইনুলের গলায় জখমের আঘাত সবাই বুঝতে পেরে ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে মহিলা প্রধান ফটক দিয়ে পালাতে গেলে জনগণ তাকে ধরে প্রশাসন ভবনে আটকে রাখে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শামীমা আক্তার দাবি করেন তিনি মইনুলের স্ত্রী। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগত কারণে তার সাথে দেখা করতে এসেছিলাম। তিনি আমার স্বামী। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই আমার সাথে মাইনুলের বাকবিতন্ডা হয়। কিন্তু তিনি তাকে গলায় জখম করিনি বরং মাইনুল তাকে জখম করে হত্যার চেষ্টা করে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন অভিযুক্ত মহিলা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, 'আমরা ঘটনা শুনে সাথে সাথে থানা পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ ওই মহিলাকে আটক করেছে। বিষয়টা বিস্তারিত থানা বলতে পারবে।'
এ বিষয়ে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আননূন যায়েদ বলেন, 'প্রশাসনিক ভবনের পেছনে আমবাগানে মাইনুল নামের ব্যাংক কর্মকর্তার গলায় এক নারী ধারালো কিছু দিয়ে পোঁচ দিয়ে জখম করেছে। খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদরে পাঠানো হয়েছে। ওই নারীকে আপাতত থানায় নেওয়া হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।''