দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে নববধূরা ফিরছেন বাবার বাড়ীতে। গত বছর আশি^ন মাস থেকে চলতি শ্রাবন মাস পর্যন্ত বিবাহিত মেয়েদের অনেকে বাবার বাড়ীতে ফিরতে শুরু করেছেন। স্বামীর মঙ্গল কামনার লক্ষ্যে ভাদ্র মাসের ১ তারিখ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত স্বামীর মুখ দর্শন থেকে বিরতী থাকবেন তারা। আনুষ্ঠানিক ও লৌকিক লোকাচার রীতি মেনে ঘট করেই তাঁরা যাচ্ছেন বাবার বাড়ি। স্থানীয় ভাবে লোকাচর রয়েছে বিয়ের ১ম বছরের ভাদ্র মাসের ১ থেকে ৩ তারিখ স্বামীর মুখ দর্শন করলে স্বামীর অমঙ্গল হয় এবং চোখ অন্ধ হয়ে যাওয়ার নববধূদের লৌকিক আশঙ্খা থাকে। এইজন্য নববধূরা বিয়ের পর প্রথম ভাদ্র মাস আসার আগে শশুর বাড়ী থেকে বাবার বাড়ী যান।
শ্রাবণের শেষ সপ্তাহে বাবার বাড়ীর লোকজন পায়েস, নানা স্বাদের পিঠা পুলি, মিষ্টান্ন ও ফলফুল নিয়ে মেয়ের শশুর বাড়ীতে মেয়েকে নিতে যায়। মেয়ের বাড়ী থেকে পাঠানো মজাদার সেই সব খাদ্য সামগ্রী আশেপাশের প্রতিবেশীদের বিতরণ ও করে শশুর বাড়ীর লোকজন তারাও নিজের সাধ্য মতো চেষ্টা করে বউয়ের বাড়ীর লোকজন কে সমাদার করার। সারাদিন হইচই আর উৎসবে মেতে থাকে নববধূর শশুরবাড়ী। নববধূকে বাবার বাড়ীতে নেওয়ার এই রেওয়াজটি স্থানীয়দের কাছে ভাদরকাটানী উৎসব নামে পরিচিত।