চট্টগ্রামের পর এখন বরিশাল নগরও জলাবদ্ধতার নগরে পরিণত হয়েছে। বরিশালে গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নগরীর ৩০ টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি ব্রজমোহন কলেজ কম্পাসের পুরো এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পরেছেন বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ পেশাজীবী মানুষ। শহরে কার্যকর পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকার কারনেই এ জলাবদ্ধতায় ভুগছেন বরিশালের বাসিরা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। বর্তমানে ফুটপাত ছাড়িয়ে দোকানপাট ও বাসা-বাড়িতেও পানি ঢুকতে শুরু করেছে। জীবনহানির পাশাপাশি কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। বরিশালে জলাবদ্ধতার নিরসন কেন হচ্ছে না, কোন সংস্থার কী ধরনের ব্যর্থতা রয়েছে সেগুলো মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। জলাবদ্ধতায় অতিষ্ঠ এ বরিশাল নগরবাসীর উন্নয়নে একটি মহাপরিকল্পনা তৈরি করে দ্রুত উন্নয়নকাজ পরিচালনা করতে হবে। কোনো সংস্থার উদাসীনতা বা অবহেলা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। খাল ও জলাশয়গুলো দখল ও ভরাট করে ফেলায় পানি নামতে পারছে না। একটু বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ছে পুরো শহর। এমনকি ভোগান্তিতে পড়েছেন সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীরাও। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা ৯ আগস্ট সকালে হাঁটুপানিতে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন। কেননা সামান্য বৃষ্টি হলেই ব্রজমোহন কলেজের পুরো ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা এখন অসহনীয় হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের কাছে। কার্যকর পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ভারী বৃষ্টি হলেই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীরা। অন্যদিকে বাড়ছে মশার উৎপাত। অথচ এখন প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ বরিশালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এদিকে কারো কোনো নজরই নেই। অন্যদিকে বাড়ছে মশার উৎপাত। অথচ এখন প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ বরিশালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এদিকে এ ব্যাপারে কারো কোনো নজরই নেই। শুধু ব্রজমোহন কলেজ নয়, জলাবদ্ধতা এখন পুরো বরিশালের সমস্যা। যে খানে একটু বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ছে পুরো শহর। এ ছাড়া পানি ও বর্জ্যনিষ্কাশনে সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা খুবই দুর্বল। শহর বড় হচ্ছে, বাড়ছে মানুষ। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সুদূরপ্রসারী কোনো পরিকল্পনাও নেই। তাই এ অবস্থায় খালগুলোকে উদ্ধার করে জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ সমস্যা সমাধান করা জরুরি।