প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হত্যাচেষ্টা মামলা প্রত্যাহারে সম্মত না হওয়ার জেরে বাদিকে কুপিয়ে মারাত্বকভাবে আহত করেছে আসামীরা। ঘটনাটি ঘটে গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে শ্যামনগর উপজেলা সদরের সোনামুগারী গ্রামে। পরবর্তীতে জরুরী পরিসেবার ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে হামলার শিকার পরিবারটি সহায়তা চাইলে শ্যামনগর থানার পুলিশ যেয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাথাসহ শরীরের বিভন্ন স্থানে মারাত্বক ক্ষতের সৃষ্টি হওয়া আবদুর রহমান(৬২) নামের ঐ বাদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তিনি একই গ্রামের মৃত গরহর আলী গাজীর ছেলে।
এদিকে আবারও হামলার পর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় বাড়িতে অবস্থানরত দুই মেয়েকে নানাভাবে হুমিক দেয়ার অভিযোগ করেছে ঐ বৃদ্ধের পরিবার। আগের মামলা উঠিয়ে না নিয়ে পুনরায় মামলার চেষ্টা করা হলে বসতঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারাসহ নানা ধরনের হুমিক দেয়ার অভিযোগ তাদের।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসধীন আবদুর রহমান জানান পৈত্রিকভাবে প্রাপ্ত জমিতে তিনি ৩০ বছর ধরে বসবাস করছেন। তার দারিদ্রতা ও ছেলেরা বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে ভাই আবদুস সাত্তার ও তার ছেলেরা তাকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদে নানাভাবে চেষ্টা করছে। তিনি আিভযোগ করে বলেন গত এপ্রিলের শেষ দিকে তার বসতবাড়ি দখল করতে এসে বাধার মুখে পড়ে আবদুস সাত্তার আর তার লোকজন। একপর্যায়ে দুই মেয়েসহ তাকে বেপরোয়াভাবে মারধর করার ঘটনায় তিনি আবদুস সাত্তার, তার স্ত্রী তাছরীন, মেয়ে শামিমা, ছেলে ইসমাইল, সুরুজ, আবুল বাসারসহ ৫/৬ জন ভাড়াটে লাঠিয়ালের বিরুদ্ধে মামলা(যার নং-১) করেন।
আহত বৃদ্ধের অভিযোগ গত ১ মে তারিখে মামলা দায়েরের পর থেকে অব্যাহতভাবে তাদের হুমকি দিচ্ছল আবদুস সাত্তার ও তার লোকজন। একপর্যায়ে সোমবার বিকালে তার বসতবাড়ির সীমানা বেঁড়া উঠিয়ে দিতে আসায় তিনি বাধা দিতেই তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়।
ঘটনার শিকার বৃদ্ধের বড় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসি জানায় তার ভঅই ঢাকায় রিক্সা চালায়। মা মারা যাওয়ায় তারা দু’বোন বাড়িতে বাবার সাথে থাকেন। তার চাচারা নামমাত্র মুল্যে শেষ সম্বল বসতভিটা নিতে নানাভাবে তাদের উপর অত্যাচার করে। স্নাতক পর্যায়ে লেখাপড়া করা ঐ তরুনী জানায় পুর্বের মামলা উঠিয়ে না নেয়ার জেরে সোমবার চাচা আবদুস সাত্তারসহ, ইসমাইল, সুরুজ, তামিম, তাছরীন, রোকেয়া, রওশানারাসহ কয়েকজন তার বৃদ্ধ বাবাকে ধারালো দা ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। এ সময় জরুরী পরিসেবার ৯৯৯ এ কল দিয়ে সে পুলিশের সহায়তায় পিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা জানায়। এ ঘটনায় তারা হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলে দাবি করলেও স্থানীয় কারও সহায়তা না পেয়ে ভীতিকর অবস্থায় সময় পার করছেন বলেও দাবি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে আবদুস সাত্তার জানান দু’পক্ষের মারামারির সময় পড়ে গিয়ে আবদুর রহমানের হাত ও মাথা কেটে যেয়ে থাকতে পারে। তিনি মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয়ার াভিযোগ অস্বীকার করেন। শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।