বুধবার (১৬ আগস্ট) এবং ১৭ আগস্ট রাতে সাড়ে ১১টায় পুলিশ তাদের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন তালশহর গ্রামের এফআইআর ভুক্ত দুজন হল,আজহার শেখের ছেলে আজিম শেখ ও একই গ্রামের মরহুম তাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ,এফআইআরএর বাইরে হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে একই গ্রামের বজন চন্দ্র দাস,মিটন চন্দ্র দাস।এর আগে জনির বাবা মকসেন মিয়া উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: আবু সামা ও তার বড়ছেলে সাচ্চু,উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো: আমির হোসনসহ ১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের তালশহর বাজারের অদূরে ওই গ্রামের যুবলীগ নেতা জনি মিয়া ও আওয়াল মিয়া নামে (৪৭) দু’জনকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা জনির দুই পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে এবং আওয়ালকেও কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ঢাকায় পাঠান। ঢাকায় যাওয়ার পথে রাত ২টার দিকে নরসিংদীতে জনির মৃত্যু হয়।এদিতে আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো.সোলাইমান মিয়া বলেন,নিহত জনি আওয়ামী লীগের জন্য একজন নিবেদিত কর্মী ছিল।তাকে যারা হত্যা করেছে প্রধান আসামি তালশহর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সামা,তার বড়ছেলে সাচ্চু এবং তার ছোট ছেলে আমির হোসেনকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানাচ্ছি।তালশহর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো.সোলাইমান মিয়া বলেন বলেন, তালশহর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সামা,তার বড়ছেলে সাচ্চু এবং তার ছোট ছেলে আমির হোসেনের এখন টার্গেট হল আমাকে হত্যা করা। আমি আমার জানমাল নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।প্রশাসনের কাছে আমি আমার পরিবারসহ আমার নিরাপত্তা দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে হত্যা মামলা করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহার হোসেন জানান, ইতোমধ্যে চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বাকীদেও গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবু সামার সাথে তার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।