আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের ২৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১৯ নেতাকর্মীর নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে জেলার গৌরনদী মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা হলেন-গৌরনদী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল হক সরদার, সদস্য মাস্টার মজিবর ফকির, খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য সাইদুল হাওলাদার, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ ফকির, কেরামত চৌকিদার, আক্কেল সরদার, জিয়া হাওলাদার, বারেক সরদার, মিঠু বয়াতী, মাওলা হাওলাদার, মোহাম্মদ হাওলাদার, ফিরোজ কাজী, দিদার ফকির, সোবাহান বেপারী, রাতুল হাসান, কাওছার তালুকদার, হায়দার তালুকদার, আবদুল হাই সরদার ও নাজমুল বেপারী।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌরনদী থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পশ্চিম ডুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মকবুল বেপারী বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
এজাহারে জানা গেছে, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশহিসেবে গত ১৬ আগস্ট খাঞ্জাপুরের আহম্মদকাঠি নবদ্বীপ পোদ্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলোচনা সভায় যোগদানের জন্য বিকেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আসছিলেন। এ সময় পশ্চিম সমরসিংহ এলাকায় পৌঁছলে বিএনপি নেতা ফজলুল হক সরদারের নেতৃত্বে যুব ও ছাত্রদল নেতারা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ছাত্রলীগের পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হয়।
তবে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুবেল গোমস্তা বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় গত বুধবার বিকেলে খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপির দোয়া-মিলাদে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে দোয়া-মিলাদ পন্ড করে দেয়। এ সময় হামলাকারীরা ছাত্রদল নেতা রাতুল হাসানের পেটে ছুরিকাঘাত ও সাবেক ইউপি সদস্য সাইদুল হাওলাদারের পা ভেঙে দিয়েছে। হামলায় বিএনপির পাঁচজন নেতাকর্মী গুরুত্বর আহত হয়েছে। রুবেল আরও বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানির উদ্দেশে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।