গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বুধবার দিবাগত রাতে গরুর মালিককে পিটিয়ে আহত করে এবং অস্ত্রের মুখে এলাকাবাসীকে জিম্মি করে চারটি গরু চুরি করে নিয়ে যায় একদল গরুচোর।
এ সময় একজন চোরকে চিনে ফেলায় গরুর মালিককে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যায় তারা। পরে আহত গরুর মালিক তোফাজ্জল হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞতনামা পাঁচজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার কাপাসিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গরুর অপর মালিক মো. হেলিম।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ডোয়াইপাখুরি গ্রামের সাফাজউদ্দিনের দুই ছেলে মো. হেলিম (৩৫) ও তোফাজ্জল হোসেন (৩২) তাদের বসতঘরের আঙিনায় দুটি গোয়ালঘরে উন্নত জাতের ৫টি গরু মোটাতাজা করছিলেন। অন্য রাতের মতো তারা রাত জেগে পাহারা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে বুধবার ভোররাতে একদল চোর সব গরু গোয়ালঘর থেকে পাশের সড়কে নিয়ে পিকআপ ভ্যানে উঠাচ্ছিল।
এ সময় গরুর শব্দে সজাগ হয়ে গোয়ালঘরে গরু না পেয়ে তোফাজ্জল হোসেন দৌড়ে সড়কে যান। সেখানে চারটি গরু পিকআপ ভ্যানে উঠানো শেষে একটি ষাড় গরুকে উঠাতে হিমশিম খাচ্ছিল মুখোশধারী চোরেরা। সে তখন ডাকচিৎকার করে একজন চোরকে জাপটে ধরে গরুটি ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে চোরেরা তাকে বেধড়ক পিটুনি দেয়।
এ সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মুখোশ খুলে গেলে পার্শ্ববতী রূপভূইয়ারটেকের মৃত হাসেম আলী কাজির ছেলে মো. জালালউদ্দিন কাজি জালুকে (৪০) সে চিনে ফেলে। পরে আশপাশের লোকজন চলে আসলে জালালউদ্দির তার হাতে থাকা পিস্তল উঠিয়ে কেউ এগিয়ে আসলে গুলি করার হুমকি দিয়ে দ্রুত চারটি গরুসহ সদলবলে পিকআপ নিয়ে পালিয়ে যায়।
তারা আরও জানান, চোরেরা তাদের প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার গরু নিয়ে যাওয়ায় দিনমজুর দুটি ভাই নিরুপায় হয়ে পড়েছেন। গরু মোটাতাজাকরণের জন্য ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধেরও তাদের কোনো উপায় নেই।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, গত প্রায় মাসখানেক আগে জালালউদ্দিনকে দিনের বেলা চুরি করা একটি ষাঁড় গরুসহ স্থানীয় দেইলগাঁও গ্রামে বেধড়ক পিটুনি দিয়েছিল উত্তেজিত জনতা।
কাপাসিয়া থানার ওসি এএইচএম লুৎফুল কবীর জানান, এ বিষয়ে স্থানীয় একজন চোরের নামসহ অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তাদের ধরতে থানা পুলিশ ইতোমধ্যেই অভিযান শুরু করেছে।