চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সাম্প্রতিক সময়ের বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান শতকোটি টাকা ছড়িয়ে গেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। পাঁচদিনের প্রবল বর্ষণের ফলে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় এ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর সূত্রে প্রাপ্ত সংবাদ প্রকাশ। বন্যায় গ্রামিন অবকাঠামোর রাস্তা ঘাট ক্ষতির পাশাপাশি মৎস্য, কৃষি খাতের চরম ক্ষতি সাধিত হয়েছে। জানা যায়, হাটহাজারী উপজেলার আওতাধীন ১ টি পৌরসভা ও ১৪ টি ইউনিয়নে বন্যায় সাড়ে চারশ পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। মাছ চাষি ও সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক মাইদুজ্জামান জানান, বন্যায় ১শ ৩৫ একর পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে প্রায় চার কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখিন চাষিরা। অপরদিকে ৪৮.৭ কিলোমিটার পাকা সড়ক বন্যাও পাহাড়ি ঢলে নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলার প্রায় প্রতিটা ইউনিয়নের সড়ক ভেঁঙ্গে গেছে পানির ঢলে স্হান বিশেষে গাছ উপড়ে পড়ে। জরুরি তহবিল না থাকায় দ্রুত সংস্কার করতে পারছেনা উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়। প্রকৌশলী জয়শ্রী দে বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক সংস্কারে ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা লাগবে। ইতোমধ্যে তালিকা সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে চলতি বছরে হাটহাজারীতে কৃষির বিপ্লব ঘটেছিল। বিশেষ করে সরিষা উৎপাদনে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা শীর্ষে ছিল। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিশেষ করে কৃষিবিদ আল মামুন সিকদার এর নিরলস পরিশ্রম, পরামর্শ ও বিনামূল্যে সরকারী কৃষি প্রনোদনা বিতরনের মাধ্যমে প্রতিটা ইউনিয়নে প্রান্তিক কৃষকরা চাষাবাদ করেছিল। বন্যায় রোপা আমন, বীজতলা, শাকসব্জি সব কিছুর ক্ষতি সাধিত হয়েছে। কৃষি অফিসের তথ্যমতে ৩শ ৮৭ হেক্টর আউশ, আমন বীজতলা, রোপা আমন, শাকসব্জি তলিয়ে গেছে। যার ক্ষতির পরিমান ৭ কোটি ১৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। একইসাথে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কিছু পোল্ট্রি ফার্মের খামারি। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে সদ্য রোপণকৃত কয়েক হাজার চারা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ (অঃ দাঃ) বলেন, পৌরসভা ও উপজেলার ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে ১ শ ২ কোটি টাকার ক্ষতির তালিকা পাওয়া গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.বি.এম মশিউজ্জামান জানান তালিকা পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দপ্তরে তালিকাটা পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। আশা করছি এমপি মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট সবার সাথে সমন্বয় করে ক্ষতি সারাতে কাজ শুরু করা হবে।